রিকশা থেকে তুলে নিয়ে রাস্তার পাশে হাত-পায়ের রগ কাটা হয় আফজাল হোসেন। এরপর রিকশা দিয়ে এনে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রকাশ্য দিবালকে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেওভোগের হাসেমবাগ এলাকায় ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী খুনের সাথে জড়িতদের সবোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাইছেন।
নিহত আফজাল হোসেন পশ্চিম দেওভোগের বাংলা বাজার প্রধান বাড়ির এবাইদুল হোসেনের ছেলে। সে এলাকাটিতে ইট-বালু সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। পুলিশ জানিয়েছে নিহত আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধেও ১৪টি মামলা ছিল।
নিহতের ছোট ভাই মোফাজ্জল হোসেন জানান, মাদক বিক্রি, হত্যাসহ নানা অপকর্মের কারণে দেওভোগের বাংলা বাজার এলাকা থেকে রাজু প্রধানকে তাড়িয়ে ছিল পঞ্চায়েত কমিটি। সেই ক্ষোভে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিয়েছে রাজু প্রধান। আজ আমার ভাই আদালতে মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য রিকশা করে যাচ্ছিলেন। তখন রাজু প্রধান, রাসেল, রাশেদ, শামীম, হিটলার, শতাব্দীর সামনের আমিনসহ ১০ থেকে ১৫ জন রিকশা থেকে নামিয়ে হাত-পায়ের রক কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের শ্বশুর মো. সেলিম জানান, আমার মেয়েটা বিধবা হয়ে গেছে, ২ নাতী, নাতনী এতিম হয়ে গেছে। আমি আমার মেয়ের জামাতার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজ জানান, আফজাল হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে আনা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, রাশেদ নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেন আফজাল। ওই যুবক বেঁচে গেলেও সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। আজ সকালে আফজালকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে রাশেদের ভাই রাসেল ও তার লোকজন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আফজালের বিরুদ্ধে থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।