ফতুল্লায় যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূ মমতাজ বেগম (৪৬) কে হত্যার পর লাশ গুম করার চেস্টার ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহত গৃহবধু মমতাজ বেগম ফতুল্লা মডেল থানার শাসনগাঁয়ের বশির উদ্দিনের মেয়ে।
পুলিশ ঘটনার পরপর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নিহতের স্বামী আতাউর (৩৮) কে গ্রেফতার করে। সোমবার(২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে পুলিশ ফতুল্লা থানার বিসিক শিল্পনগরীর শাসনগাঁস্থ নিহতের নিজ বাড়ী থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, পূর্বে তার বোনের একটি বিয়ে হয়েছিলো। সে সংসার ভেঙ্গে গেলে তার বোন উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ জমিতে পাকা টিন শেড ঘর তুলে সেখানে বসবাস করছিলো এবং গার্মেন্টসে চাকুরী করতো। অপরদিকে আতাউর তার বোনের বাসায় যাতায়াতের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর মমতাজ জানতে পারে যে তার স্বামী আতাউর ও পূর্বে বিয়ে করেছিলো। সে সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে আতাউর কে ১০ লাখ প্রদান সহ বিসিক ভাঙ্গা ক্লাবের সামনে দুটি জুতার দোকান করে দেয়।
তবুও যৌতুকের দাবীতে প্রায় সময় আতাউর বাদীর বোনকে মারধর করতো। আতাউরের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তার বোন আরো পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করে। তারপর ও প্রায় সময় যৌতুকের দাবীতে তার বোন কে মারধর করতো।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০ তারিখ রোববার রাত ১০ টার দিকে আতাউর তার বোনের নিকট দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। তার বোন অসম্মতি প্রকাশ করলে আতাউর তার বোন কে মারধর করে।পরে রাত একটার দিকে নিহত মমতাজ বাদীকে ফোন করে জানায় আতাউর তাকে মেরে ফেলবে।
আতাউরের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য চাইলে তারা রাতে বাসায় গিয়ে বুজিয়ে বলে আসে যে বিষয়টি নিয়ে সকালে বসবে।তারা চলে আসার পর ভোর সকালের দিকে আতাউর তার বোন কে হত্যা করে লাশগুম করতে বাথরুমের সেফটি ট্যাংকের ভিতর লুকিয়ে রাখার চেস্টা করে। এ সময় ভাড়টিয়া দেখে ফেলে এবং বাদী কে ফোন করে জানায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানান,জরুরী সেবা ৯৯৯’এ কল পেয়ে সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মৃত দেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুর বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আতাউর কে ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় বলে তিনি জানান।