সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুরস্থ জামিয়া কাসেমুল উলুম মাদানীয়া মাদ্রাসার দুই গ্রুপের ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের একটি গ্রুপের সাথে বহিরাগতরা মাদ্রাসার ভিতরে প্রবেশ করে মাদ্রাসারই অপর একটি গ্রপের ছাত্রদের মারধর করে । এতে করে ২ শিক্ষকসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন মাদ্রাসার শিক্ষক ফখরুদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র মীরাজ, নাওমী বিভাগের ছাত্র ইমরান, নাহিদ, শরীফ ও তোলারাম কলেজের ছাত্র মিরাজ (২)।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কাশীপুরের জামিয়া কাসেমুল উলুম মাদানীয়া মাদ্রাসায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মিনহাজ, মিরাজ (২), রায়হান, বাধন রফিক, সাগর ও মিনহাজুল।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসার মিজান বিভাগের ছাত্ররা উচ্চস্বরে কথা বলছিলো। তখন নাওমী বিভাগের ছাত্ররা তাদের থামার জন্য অনুরোধ করে। যা নিয়ে দুই বিভাগের ছাত্রদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। সে সময় বিষয়টি সেখানেই থেমে যায়। যোহরের নামাজ আদায়ের সময় আবারো দুই বিভাগের ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তখন মাদ্রাসার শিক্ষকরা উভয় গ্রুপকে শান্ত করে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে।
এশার নামাজের পর মীজান বিভাগের ছাত্ররা বহিরাগতদের সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র, হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে নাওমী বিভাগের ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। হামলায় মাদ্রাসার ছাত্ররা হতবিহম্ব হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে। এ সময় শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের উপরেও হামলা চালায়। হামলায় দুই শিক্ষকসহ ৫ জন আহত হন। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয়রা আরও জানায়, মাদ্রাসায় কিছু ছাত্র আছে যারা বহিরাগতদের সাথে নিয়মিত আড্ডা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। মূলত মাদ্রাসায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এস আই নজরুল জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মীরাজ নামের একজন আহত রয়েছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসাটির প্রিন্সিপাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।