ফতুল্লায় চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনে থাকা পরিবারের সদস্যদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার হুমকী দিয়ে ব্ল্যাক মেইলিং করে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনসহ নাদিম মুন্সি (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত নাদিম মুন্সি কুমিল্লা জেলার বাংগরা থানার দক্ষিন বাংগারার হাটাশ গ্রামের আব্দুল তাহের মুন্সির পুত্র ও ফতুল্লা থানার কুতুবপুর আদর্শ নগরের বাতেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকালে তাকে কুতুবপুরের আদর্শনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে মেবাইল চুরি করে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে চাদাঁ দাবী করার অভিযোগ এনে
কুমিল্লা জেলার জেলার বাংগরা থানার দক্ষিন বাংগারার হাটাশ গ্রামের মোঃ মধু মিয়ার পুত্র আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাদীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে জানা যায়, মামলার বাদী একটি ট্রাভেল এজেন্সির হয়ে কাজ করে। বাদী আব্দুল বাতেন মিয়া ও গ্রেপ্তারকৃত নাদিম মুন্সি একই গ্রামের হওয়ার সুবাদে তারা পূর্ব পরিচিত। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আব্দুল বাতেন ফতুল্লার কুতুবপুর আদর্শ নগরস্থ গ্রেপ্তারকৃত নাদিম মুন্সির বাসায় বেড়াতে আসে। সেখানে রাত্রি যাপনের পর সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নেই। পরবর্তীতে সে জানতে পারে জানতে পারে তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ তারই পরিচিত নাদিম মুন্সি নিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি সে নাদিমের বাবা- মাকে জানালে তারা তাকে বলে যে নাদিমের নিকট থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিবে। কিন্তু নাদিম মোবাইল ফেরৎ না দিয়ে উল্টো বাদী কে হুমকি প্রদান করে যে মোবাইলে থাকা তার পরিবারের নারী সদস্যদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে। সে ক্ষেত্রে তাকে আট লাখ টাকা প্রদান করতে হবে অন্যথায় তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদর্শ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ী থেকে অভিযুক্ত আসামী নাদিম মুন্সি কে গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নাদিম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কথা স্বীকার করেছে।