ফতুল্লায় দুই পরিবারের সম্মতিতে কিশোরী (১৭) সাথে বিয়ে দিন ধার্য হয় নাদিম (২২) নামে এক যুবকের। এরপর হঠাৎ পালিয়ে যায় নাদিম। প্রায় ৮মাস পর ফের ওই কিশোরীকে বিয়ের করার জন্য তার বাসায় উপস্থিত হয় এবং বিয়ের দিনও ধার্য হয়। কিশোরীর পরিবারের লোকজন বিয়ের কেনাকাটা করতে গেলে, ঘরে একা পেয়ে হবু কিশোরী স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে অধিযুক্ত নাদিমের বিরুদ্ধে।
এদিকে, এই ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য, অভিযুক্ত নাদিমের পরিবারের সাথে একাধিকার চেষ্টা করেছে আপোষ করার। কিন্তু কোন ভাবেই এই চেষ্টায় সফল হয়ে উঠেনি ভু্ক্তভোগীর বাবা। অবশেষে পুলিশের আশ্রয় নেয় তিনি। এমনটাই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ফতুল্লা মডেল থানায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। তথ্যটি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন।
অভিযুক্ত নাদিম (২২) বরিশাল কাউনিয়া থানার শায়েস্তাবাদ চর আইচা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারী নাদিমের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ের দিন ধার্য ছিল। তখন নাদিম বিয়ে না করে আত্মগোপন করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর আবারও বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ভুক্তভোগীর বাসায় আসে নাদিম। তখন অভিযুক্ত ধর্ষককে বাসায় রেখে কিশোরীর বাবা মা বাজারে যায় বিয়ের বাজার করতে। এরমধ্যে নাদিম তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এরপর বাজার থেকে বাসায় ফিরে ভুক্তভোগীর কাছে নাদিমের বিষয় জানতে চাইলে সে বলেন নাদিম তাকে ধর্ষণ করে চলে গেছে। তারপর থেকে একাধীকবার চেষ্টা করেও নাদিম ও তার বাবা মায়ের সঙ্গে বিষয়টি আপোষ করতে পারেনি ভুক্তভোগীর বাবা।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন জানান, ঘটনার পর আমরা সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করে ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকা থেকে আসামী নাদিমকে গ্রেপ্তার করি। ভুক্তভোগী নারীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীকে ধর্ষণের মামলায় দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।