ফতুল্লায় একটি বাসায় গ্যাসের লাইনে ‘বিস্ফোরণ’ থেকে আগুন লেগে দগ্ধ একই পরিবারের ৬জনের মধ্যে ঝুমা রানী (১৯) চিকিৎসাধীন মারা গেছেন।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিস্ফোরণের পরপর দুই নারীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাড়ালো ৩ জনে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, ফতুল্লা থেকে গ্যাস বিস্ফোরণে ছয়জনের মধ্যে সোমবার চিকিৎসাধীন ঝুমা রানী মারা গেছে। তার শরীরের ৫০ শতাংশ বার্ন (দগ্ধ) ছিল। নিহতের মা তুলসী রানী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ভোরে ফতুল্লার লালখাঁর মোড়ে মোক্তার মিয়ার পাঁচতলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরও তিনটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের ৫টি কক্ষ ও পাশের বাসার তিনটি বাড়ির তিনটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। এ ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় মায়া রানী ঘটনাস্থলেই দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। এসময় মায়া রানীর দুই মেয়ে বৃস্টি (১৪), সৃস্টি (১০) ও এক ছেলে নির্জয় (৩) আহত হয়। এছাড়া একই পরিবারের আরও ৬জন দগ্ধ হয়। তারা হলো তুলসী রানী (৫৫), তার মেয়ে ঝুমা রানী (১৯), মনি রানী (২০), সুধন (৩৪), সোহেল (১৪), ও সৌরভ (২২)। তাদের প্রত্যেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানিয়েছিলেন, ফতুল্লা থেকে গ্যাস বিস্ফোরণে আহত ৬ জন বার্নে এসেছে। তাদের মধ্যে চার জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ও দুইজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। ভর্তি দুজন হলেন, তুলসী রানী (৫৫) তার শরীরে ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে ও ঝুমা রানী (১৯) তার শরীরে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
অবশেষে সোমবার সকালে ঝুমা মারা গেল। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৩ জনে।