রুদ্রবার্তা২৪.নেট: একদিকে ডিএনডির জলাবদ্ধতা অপরদিকে বর্ষার আগমনে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কাঠ ব্যবসায়ী ও নৌকার কারিগররা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে নৌকা তৈরির ঠক ঠক শব্দ। অনেকের ঘুম ভাঙ্গে ঠক ঠক শব্দের আওয়াজে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টির প্রবনতা বেশী তাই কাঠ ব্যবসায়ীদের নৌকা তৈরির ব্যস্ততা আরো বেড়ে গেছে।
তাদের নৌকা বিক্রির টার্গেট অনুয়ায়ী প্রায় তিন গুন নৌকা বিক্রি করছে। এখনও নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার কারিগর ও তাদের সহযোগীরা। এছাড়াও প্রতিদিন বক্তাবলী, চরকাশিপুর, পানগাও, লালপুর, পৌষা পুকুরপাড়, জালকুড়িসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ নৌকা নিতে আসেন।
তবে এবার নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আশেপাশের জেলাগুলো থেকে নৌকা নিতে আসায় নৌকা বিক্রির পরিমান অনেকটা বেড়েছে। ফলে রাত দিন একাকার করে নৌকা তৈরি এবং বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। ফতুল্লার পোষ্ট অফিস ও জালকুড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কাঠের দোকানে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার কারিগর।
কেউ নৌকা রানদা করছেন, কেউ নৌকার গায়ে পেরেক ঠুকছেন, কেউ নৌকার মাস্তল বানাচ্ছেন কেউ বা নৌকায় আলকাতরা মাখছেন। এর ফাঁকে অনেক ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুসারে নৌকা অর্ডার করছেন আবার কেউ তৈরি নৌকা ডেলিভারি নিচ্ছেন।
তবে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পছন্দ অনুসারে মেহগনি, চাম্বল, কড়াই, রেইনট্রি গাছ দিয়ে বিভিন্ন সাইজের নৌকা তৈরি করছেন। সাইজ অনুসারে এসব নৌকা বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
পানগাও থেকে নৌকা কিনতে আসা আলিম মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বাড়তে থাকায় নদীর সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন এলাকাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে ফসলি জমি,মাছের ঘের, রাস্তাঘাট পানিতে নিচে তলিয়ে গেছে। তাই আট হাজার টাকা দিয়ে একটি নৌকা কিনে নিয়ে গেলাম।
লালপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হরিরাম বলেন, কি বলবো ভাই লাগাতার বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়িতে যেতে হলে কোমর পানি দিয়ে যেতে হয়। তাই নিরুপায় হয়ে পাঁচ সাত হাজার টাকা মূল্যের একটি ছোট নৌকা কিনতে এলাম। দেখি কপালে একটা নৌকা জুটে কিনা।