আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় আবারো দুই গ্রুপের মধ্যে টেটাবল্লম নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় টেটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের মধ্যে ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে ফতুল্লার বক্তাবলীর আকবরনগর ও প্রতাবনগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও এলাকায় থমথম অবস্থা বিরায করছে।
এদিকে বক্তাবলীর সামেদ আলী ও মোতালিব বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র সংঘবদ্ধ হয়ে টেটাবল্লম, লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের উপর আঘাত হানার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তারা মাইকে ঘোষনা দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বক্তাবলীর আকবরনগর এলাকার সামেদ আলী বাহিনী একক ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে বিভিন্ন এলাকার লোকদের কোনঠাসা করার অপচেষ্টা চালায়। বিশেষ করে সামেদ আলীর পুত্র গনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা চালায়। মঙ্গলবার একটি হত্যা মামলার জের ধরে সামেদ আলী বাহিনী চর বক্তাবলীর জাকিরের বাড়িতে হামলা চালায়। তারই জের ধরে প্রতাবনগরের মোতালিব বাহিনীর নেতৃত্বে সামেদ আলী বাহিনী বিরোধীদের নিয়ে এক জোট হয়ে বুধবার বিকেলে আকবরনগরে গিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। ঐ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে টেটাবল্লম নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা হতে সামেদ আলী বাহিনীর সাথে মোতালিব বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আকবরনগর ও প্রতাবনগর এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ টেটাবল্লম যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে করে দুই পক্ষের ৫/৬ জন টেটাবিদ্ধ সহ ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক দিপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। টেটাবিদ্ধ সহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপরাধী যেই হউক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে। আর ঘটনার এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।