নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফতুল্লা থানার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার মামুনের পুত্র মানিক (১৭) একই এলাকার রাসেদের পুত্র কাউছার (১৭), মাসদাইর ছোট কবরস্থানের সহোদর দুই ভাই ও এলু মিয়ার পুত্র সিফাত (১৯), উজ্জল (১৮) ও আশরাফের পুত্র মো. আশিক (১৭)।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলী ফেরীঘাট ও মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে পুলিশ দুটি ধারালো চাকু উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, নরসীংপুর এলাকার বেকারী ব্যবসায়ী মীর হোসেন খানের পুত্র নাজমুল (১৫) ও কর্মচারী ফাহিম (১৮) বৃহস্পতিবার বিকেলে বক্তাবলী ফেরীঘাট এলাকায় ঘুরতে যায়।
রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা সেখান থেকে চলে আসার পথে জাকিরের ইট খোলার সামনের রাস্তা থেকে গ্রেপ্তাকৃতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং বেকারী ব্যবসায়ী মীর হোসেন খানের নিকট ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন হিসেবে দাবী করে।
বিকাশের মাধ্যমে রাত নয়টার দিকে চার হাজার টাকা প্রদান করে। বিকাশের দোকান বন্ধের অজুহাত দেখিয়ে হাতেহাতে বাকী টাকা পরিশোধের প্রস্তাব দিলে গ্রেপ্তারকৃতরা টাকা নিয়ে জাকিরের ইট খোলায় নিয়ে আসতে বলে।
পরে তারা কৌশল অবলম্বন করে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রেপ্তারকৃতরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে মানিক ও কাউছার কে আটক করতে সক্ষম হয়। সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে পালিয়ে যাওয়া সিফাত, উজ্জল ও মো, আকাশ কে মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময তাদের নিকট থেকে দুটি ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বেকারী ব্যবসায়ী মীর হোসেন খান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে তারা প্রতিনিয়ত বক্তাবলী ফেরীঘাট, মুন্সিগঞ্জ-পঞ্চবটী সড়ক সহ আশপাশের বিভিন্ন রাস্তায় ছিনতাই করে থাকে। তারা পেশাদার ছিনতাইকারী বলে তিনি জানান।