ফতুল্লায় পাওনা টাকার লেনদেন কে কেন্দ্র ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূকে লাথি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার জামাই বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূ ফুলমতি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূ ফুলমতি জানান, তার স্বামী মনতাজ মিয়া পশ্চিম তল্লা জামাই বাজারে কাঁচা তরকারীর দোকান নিয়া ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। সে নিজ ব্যবসার জন্য একই এলাকার ইমান আলী(৫০)’র নিকট থেকে ১২শত টাকা মূল্য দিয়ে একটি ডিজিটাল পাল্লা কিনে। তবে পাল্লার টাকা নগদ ২৫০ টাকা প্রদান করে। বাকী টাকা একদিন পর দিবে বলে পাল্লাটি ক্রয় করে। পরদিন অর্থাৎ ৯ মার্চ সকাল ৯ টার দিকে ইমান আলী দোকানে এসে বাদীর স্বামীর নিকট পাওনা টাকা দাবী করে। একটু অপেক্ষা করতে বলায় ইমান আলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় উভয়ের মধ্যে। এক পর্যায়ে ইমান আলী তার পু্ত্র শাকিল(১৯) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন বাদীর স্বামীকে দোকান থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে পেটাতে থাকে। সংবাদ পেয়ে স্বামীকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে বাদী উপস্থিত হলে অভিযুক্তরা তাকে ও মারধর করে এবং তার পেটে লাথি মারে।তাদের ডাক- চিৎকারে স্থানীয় পথচারী ও বাজারের দোকানীরা এগিয়ে এসে তাদের কে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাদীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে গর্ভে থাকা শিশুটি মারা যায়।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদম্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানায়, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।