ফতুল্লা এলাকার সিএনজি চালক ফাহাদুল আলমের দেড় বছরের কন্যা শিশু রাইসা ইসলাম গত আট মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের আট মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি ফতুল্লা থানা পুলিশ ও পিবিআই নারায়ণগঞ্জ।
মেয়ের সন্ধানের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসকাবের সামনে মানববন্ধন করেন ফাহাদুল আলম ও শামীমা বেগম দম্পতি। তাদের সাথে ছিলেন দুই ছেলে, শ্যালিকা ও শাশুড়ি।
মানববন্ধনে বাবা ফাহাদুল ইসলাম জানান, তার পূর্ব পরিচিত অপর এক সিএনজি চালক কাশেম একদিন রাজিয়া (১৮) নামের এক নারীকে নিয়ে তার বাসায় নিয়ে আসে। পরে কাশেম বলে ওই নারী অসহায় তাকে কয়েকদিনের জন্য বাড়িতে রাখার জন্য।
তিনি ওই নারীকে তার বাসায় আশ্রয় দেন। গত বছরের ১১ অক্টোবর বিকেলে তার মেয়েকে নিয়ে মুড়ি খাওয়ার কথা বলে বাহিরে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় তিনি ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি কিছুদিন পর পিবিআইতে হস্তান্তর হয়।
তার দাবি, কাশেম ওই নারী রাজিয়াকে দিয়ে তার মেয়েকে অপহরণ করিয়েছে। পুলিশকে একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছেন যেখানে ওই নারী কাশেমের সঙ্গে কথা বলছে। কাশেম সবকিছু জানে। কিন্তু পুলিশ তাকে বলে আপনি দেখে রাখেন। তারা ফুটেজও নেয়নি।
মা শামীমা বলেন, দুই ছেলের পর এইটাই একমাত্র মেয়ে। বড়ই আদরের ছিল। মাত্র দেড় বছর বয়সে তারে অপহরণ করা হইছে। সারাদিন বাসায় কান্নাকাটি করছি। কয়েকদিন আগে নিজেরে ব্যস্ত রাখতে গার্মেন্টসে কাজ নিছি। আমি আমার সন্তানরে ফিরে পেতে চাই। বাচ্চা পেলে কারও প্রতি আমার কোন অভিযোগ থাকবে না।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পরিদর্শক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, তিনমাস হয়েছে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে কাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তবে অপহরণকারী রাজিয়ার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে শিশুটির সন্তানকে খুঁজে পেতে কাজ করছি। শীঘ্রই কোন সফলতা পাবো বলে আশা করছি।