রুদ্রবার্তা২৪.নেট: ফতুল্লা জলাবদ্ধতাকে ‘নিজের ব্যর্থতা’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। রোববার (৪ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘জলবদ্ধাতা নিরসনে নারায়ণগঞ্জের সবগুলো সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ের দরকার। বিচ্ছিন্নভাবে সমস্যার আংশিক সমাধান হবে, পুরোপুরি সমাধান হবে না। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকে থেকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি আগামী রবিবার আসবেন। তিনি আসার আগে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বুধবার ডিএনডি ও এর বাইরে যেসব এলাকায় জলবদ্ধতা হচ্ছে সে বিষয়ে সমাধান কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আমরা বসবো। আমাদের পরবর্তী সভায় এই জলাবদ্ধতা নিরসনে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাতে করে আগামী শীত মৌসুম পরে এরকম পরিস্থিতি নিয়ে আর কোনো সভা করতে হবে না। আমি আশা করি এই রবিবারে একটি সিদ্ধান্ত দিতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন সংস্থার লোকজন উপস্থিত আছেন কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের কোনো লোক উপস্থিত থাকেন নাই। আমার মনে হয় যে উপস্থিত থাকা দরকার ছিলো কারণ যদি একটি ডির্পাটমেন্ট না থাকে তাহলে এটার জন্যে সব সমস্যা থেকেই যাবে। আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই। এই কাজে কারো আবেগের কমতি নাই কিন্তু সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।’
ফতুল্লার জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, ‘আমি মনে করি এ সমস্যা আমার ব্যর্থতা। এ জন্যে আমার এলাকার ভুক্তভোগী তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা চাওয়াতে আমার কোনো লজ্জা নাই কারণ আমি সমস্যাটা সমাধান করতে পারি নাই। কিন্তু এটা সত্য যে এ সমস্যা সমাধানে আমাদের কোনো অতিরিক্ত মেশিনারিজ এবং অতিরিক্ত বাজেট নাই। যেটুকু আনা সম্ভব ছিলো তার থেকে বেশি আমি নিয়ে এসেছি। এখন যতটুকু করা দরকার তাও আমরা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতবছরের বৃষ্টিতে এত বাজে অবস্থা হয় নাই। এই বছর কেন এত বাজে অবস্থা? সিটি কর্পোরেশনের পুরো পানিটা গাবতলীর দিক দিয়ে বের হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনেও তো মানুষ থাকে সে পানি বের হওয়াতো আর আমরা বন্ধ করতে পারি না এবং বন্ধ করা উচিতও না। যদি দরকার হয় তাহলে এখান দিয়ে আরও পানির লাইন দিক তারা। কিন্তু সমস্যা যেটা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের পুরো পানি বের করা হচ্ছে মাসদাইর কবরস্থান এলাকার চিপা দিয়ে বের হচ্ছে। কিন্তু ঐ পানিটা যেখানে পড়ছে সেটা আটকিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে গাবতলী এলাকার মানুষ পানিতে ভাসছে।’
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, ডিএনডি প্রজেক্টের পরিচালক লে. কর্ণেল মো. আহসানূত তাকবিম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু প্রমুখ।