নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানাধীন ৮০ দশকের চলচ্চিত্র অভিনেতা, গীতিকার ও সুরকার, খ্যাতিমান ছড়াকার সাংস্কৃতিক ব্যক্তি মৃত সৈয়দ আব্দুল ছালাম এর পুত্র লুৎফর রহমান ওরফে এস.এ. শামীমকে (৬৫) অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রংপুরের বাসিন্দা জয়দুল হক এর পুত্র বর্তমানে ফতুল্লায় বসবাসরত মোঃ হাসমত উল্লাহ রানা (২৭)ও তার সঙ্গীয়রা বিভিন্ন ভাবে এস.এ. শামীমকে নাজেহাল করছে সেই সাথে উক্ত জায়গার মালিকানা নিয়ে পারিবারিক আত্নীয় সৈয়দ মোঃ জাকির হোসেন গংদের ষড়যন্ত্রের শিকার বলে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে।
বর্তমানে রানা ও সৈয়দ মোঃ জাকির হোসেন গং এদের অমানুষিক অত্যাচারে বয়োবৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ব্যক্তি এস.এ. শামীম মানুষিক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। ষড়যন্ত্রকারী এ কুচক্রী মহলের হাত থেকে মুক্তি পেতে ও ন্যায় বিচারের আশায় এস.এ. শামীম নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা,মানবাধিকার সংস্থা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের কাছে মানবিক সহযোগিতার কামনা করেন।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী এস.এ.শামীম বলেন, দাপা ইদ্রাকপুর মৌজায় পৈতৃক সূত্রে ৬ শতাংশ জমির মালিক হয়ে আমি ও আমার দু’বোনের নামে আর,এস পর্চায় নাম লিপিবদ্ধ হয়। আমার দু’বোন তাদের মালিকানা ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে। আমি আমার অংশে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় নগদ টাকার প্রয়োজনে মোঃ হাসমত উল্লাহ রানা’র নিকট বিগত ২৮-৭-২৯২৪ তারিখে ৬৬৩০ নং রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ লক্ষ টাকা নগদে নিয়ে বায়না নামা দলিল করে দেই। শর্ত থাকে ৩ মাস এর মধ্যে রানা বাকি টাকা বুজিয়ে দিয়ে সাফ কবলা দলিল করে নিবে। কিন্তু রানা সময় অতিক্রম হয়ে গেলেও বাকিটাকা না দিয়ে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। আমি উপায়ন্তর না পেয়ে রানার নিকট লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও কোন সঠিক উত্তর বা আস্তা না পেয়ে মোকাম বিজ্ঞ ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত নারায়ণগঞ্জ এ উক্ত বায়না দলিল বাতিল চেয়ে দেঃমোঃনং-৮২৯/২০২৪ একটি মামলা দায়ের করি। যাহা আদালতে চলমান।
কিন্তু রানা আদালতে কোন জবাব না দিয়ে উল্টো আমাকে নানা উপায়ে প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা ও লোকজন দিয়ে আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে আদালতের মামলা তুলে নিতে এবং তার বায়না কৃত টাকা ফেরত দিতে। এখনো সে তালবাহানা করে ৩ শতাংশ পুরো জমি না নিয়ে দেড় শতাংশ জমি লিখে দেয়ার। এ ধরনের অনৈতিক দাবী নিয়ে রানা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে আমাকে চাপের মুখে রেখে মানুষিক ভাবে আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে রানা ও তাদের লোকজনদের চাপে আমি আতঙ্কিত। আমি একজন হার্টের রুগী। তাদের ভয় ভীতিতে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছি। অপরদিকে সৈয়দ মোঃ জাকির হোসেন গংরা আমার পিতার ক্রয়কৃত দলিলের ১ মাস পরের দলিল দেখিয়ে মালিকানা দাবি করে ও রেকর্ড সংশোধন চেয়ে ২০১৬ সালে একটি মামলা করলেও তা খারিজ
হয়ে যায়। কিন্তু তারা আবারও যড়যন্ত্র করে মোকাম নাঃগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালতে মামলা করে যাহার দেওয়ানী মামলা নং- ৩৬৮/২০২৪। আমি এ কুচক্রী মহল ও ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে মুক্তি চাই এবং আইনের ন্যায় বিচারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।