নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মুসলিম নগরে ওড়না দিয়ে হাত-মুখ বেধে পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩)কে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক মাহিম (২২)কে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভোর রাতে ফতুল্লার মুসলিম নগর এলাকা থেকে আটক করে। এর আগে ধর্ষনের শিকার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে আটককৃত মাহিমকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
গ্রেফতারকৃত মাহিম ফতুল্লা মডেল থানার মুসলমি নগরের হাসান মিয়ার পুত্র। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর ফুফাতো ভাই গ্রেফতারকৃত মাহিম।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ধর্ষিতা ওই কিশোরী মাদ্রাসায় থেকে পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে। গ্রেফতারকৃত মাহিম ও বাদীর পরিবার পাশাপাশি বাড়ীতে বসবাস করে। ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে বাদী তার মেয়েকে মাদ্রসা থেকে নিজ বাসায় নিয়ে আসে। ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টার দিকে গ্রেফতারকৃত মাহিম বাদীর বাসায় এসে ওই কিশোরীকে কথা আছে বলে নিজ বাসায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে নিজ রুমে নিয়ে দরজা লাগিয়ে ওই কিশোরীর পরিধেয় ওড়না দিয়ে হাত- মুখ বেধে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। এবং বিষয়টি কাউকে না বলার হুমকি প্রদান করে। ঘটনার একদিন পর কিশোরী অসুস্থ হয়ে পরলে বাদীর নিকট ঘটনার বিস্তারত বর্ননা করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হানিফ জানায়, অভিযুক্ত আসামী মাহিম কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।