ফতুল্লার আলীগঞ্জে নিখোজের তিনদিন পর ডোবা থেকে উদ্ধার হলো বিকাশ ব্যবসায়ীর লাশ। নিহতের নাম আতিকুল ইসলাম(২০)। সে ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জের ইকবালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ বশির হাওলাদারের পুত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ হলে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ফতুল্লার আলীগঞ্জস্থ অলি হাজীর ডোবা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।
নিহতের বাবা বশির হাওলাদার জানান, তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। নিহত আতিকুল ইসলাম সন্তানদের মধ্যে ছোট। সে কুরআানে হাফেজ ছিলো। আলীগঞ্জ কাজীপাড়ায় একটি বিকাশের দোকান ছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে সে বাসা থেকে দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়। পরে রাত দশটার দিকে দোকান বন্ধ করে। তখন সম্রাট নামে আরেক বিকাশ এজেন্ট পাওনা ৫০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য আলীগঞ্জ রেললাইন বাজারস্থ স্থানে আতিকুলকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে আতিকুল নিখোজ। নিখোঁজের রাতে আতিকুলকে একাধীকবার ফোন করার পর একবার ফোন রিসিভ করে বলেন আমি মাহফিলে।
তিনি ধারনা করে বলেন, ঘাতকরা জিম্মি করে তার টাকা লুটে নেয়ার জন্যই তাকে দিয়ে মাহফিলে থাকার কথা মিথ্যা বলিয়েছে। টাকা লুটে নিয়ে গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যারপর আতিকুলকে ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিখোঁজের রাতেই ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করতে গিয়ে ছিলাম। ওই রাতে পুলিশ জিডি নেয়নি। পরে শুক্রবার সকালে গিয়ে জিডি করেছি। হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।