ফতুল্লায় আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামের এক অটোরিক্সা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবী আনোয়ারের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তান পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেস্টা করে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত আনোয়ার হোসেন শরিয়তপুর জেলার ঘোষার হাট থানার মোল্লাপাড়া আবুল হোসেনের পুত্র। সে পেশায় অটোরিক্সা চালক। দ্বিতীয় স্ত্রী কে নিয়ে সে চটলার মাঠস্থ রুমা গার্মেন্টস এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করতো।
নিহতের বোন আখি আক্তার জানান, তার ভাই আগে একটা বিয়ে করেছিলো। সে সংসারে অনিতা (১২) নামের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বনিবনা না হওয়ায় বেশ কয়েক বছর পূর্বে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়।
পরবর্তীতে চার বছর পূর্বে তার ভাই পরিবারের সদস্যদর না জানিয়ে উম্মে কুলসুম নামের এক মহিলাকে বিয়ে করে। উম্মে কুলসুমেরও আগে বিয়ে হয়েছিলো। সেই সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আনোয়ার হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী উম্মে কুলসুম ও ছেলে হৃয়ন (১৫) কে নিয়ে চতলার মাঠ এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করতো।
আখি আরও জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আনোয়ারের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে হৃয়ন ফোন করে তাকে জানায় যে তার ভাই আনোয়ার হোসেনের বুকে ব্যাথা উঠেছে। এ কারণে প্রথমে তাকে ভিক্টোরিয়া পরে খানপুর হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এমন সংবাদ পেয়ে আখি দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে আনোয়ার হোসেন নামের কোন রুগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়নি।
তখন তিনি হৃয়নকে ফোন করলে সে জানায়, আনোয়ার হোসেন মারা গেছে। এবং লাশ বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। এক পর্যায়ে তড়িগড়ি করে লাশ দাফনের চেস্টা করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ -এ ফোন পেয়ে তিনি রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চতলার মাঠে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। লাশের বুকে, পেটে ও পিঠে একাধিক আচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।