প্রেম মানে না কোনো ধর্ম, বর্ণ বা দেশ। সে কথা আবারও প্রমাণিত হলো। বাংলাদেশি তরুণের প্রেমের টানে নিজ দেশ ইতালি ছেড়ে কক্সবাজারের রামুতে চলে এসেছেন রুবের টা (২৩)।
গত বুধবার (৯ নভেম্বর) রামু উপজেলা সদরের হাইটুপি বড়ুয়া পাড়ার ফ্রান্স প্রবাসী বিকাশ বড়ুয়ার ছেলে রুনেক্স বড়ুয়ার (২৮) সঙ্গে ইতালির সার্দেনিয়া শহর থেকে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী।
রুনেক্সের পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় তিন বছর আগে ইতালিতে যায় রুনেক্স। সেখানে ওই তরুণীর সঙ্গে একটি আবাসিক হোটেলে কাজ করত সে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় প্রেমের পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় তরুণী বাংলাদেশে আসেন। চলতি মাসেই তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হবে।
রুনেক্স বড়ুয়া বলেন, ‘তিন বছর আগে ইতালিতে গিয়েছিলাম। একটি হোটেলে কাজ করতাম। সেখানেই পরিচয় হয় রুবের টার সঙ্গে। এরপর প্রেম। এখন আমরা দেশে এসেছি বিয়ে করব। আপনাদের দাওয়াত। সে আমার পরিবারের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে। আমার পরিবারও তাকে গ্রহণ করেছে।’
প্রেমের সফল পরিণতিতে রুবের টা বলেন, ‘মানুষের জীবন একটা। সঙ্গীও একটা হওয়া উচিত। আমার সমাজে সেটা নেই। আমি বিশ্বাস করি, রুনেক্স আমার জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়ে থাকবে। ওকে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। তার পরিবারের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ ধারা সামনের দিনগুলোতে বজায় থাকবে সেই প্রার্থনা করি।’
রুনেক্সের ভাই শাওন বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা আনন্দিত। ভাই-বৌদির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
তিনি জানান, রুবের টার ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন, পড়ছেন বাঙালি পোশাক। লোকজন সকাল থেকে তাকে দেখার বাড়িতে ভিড় করছে।
রুনেক্সের মা সুমি বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল, ছেলেকে বিদেশি মেয়ে বিয়ে করাবো। সেটা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। আমার বৌকে নিয়ে আমি খুব খুশি। তাদের ধুমধাম করে বিয়ে দেব। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।’