‘আমি মরে গেলে দুই তিন দিন পর সবাই আমাকে ভুলে যাবে। কিন্তু আমি প্রতিটা দিন থাকবো আমার মায়ের মোনাজাতে’ ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে এ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমে ব্যর্থ হওয়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি ফারহান আহম্মেদ সাকিব।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টায় বিষপান করলে গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাকিব। পরে ময়নাতদন্তে শেষে শনিবার বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ।
মৃত সাকিব মিয়া আড়াইহাজার উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের ফজুল মিয়ার ছেলে। সে আড়াইহাজার উপজেলার হাবিব বেলায়েত হোসেন ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনির ছাত্র।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ৬জনকে অভিযুক্ত করে আড়াইহাজার থানায় লিখি অভিযোগ দিয়েছেন।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবাইয়ের আহমেদ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়ে পুলিশ জানায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাকিবের। মেয়ের পরিবার প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় দুইজন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলে। পরে মেয়ের বাবা খোঁজে বের করে তার মেয়েকে নিয়ে আসে। একই সঙ্গে মেয়েকে বাধ্য করে সাকিবকে তালাক দেওয়ার জন্য। মেয়ে সাকিবকে তালাক দিয়ে দেয়। গত কয়েকদিন আগে ওই মেয়েকে তার বাবা অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপর থেকেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরে সাকিব। শুক্রবার রাতে ফারহান আহম্মেদ সাকিব নামে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ‘স্ট্যাটাস দেয় ‘আমি মরে গেলে দুই তিন দিন পর সবাই আমাকে ভুলে যাবে। কিন্তু আমি প্রতিটা দিন থাকবো আমার মায়ের মোনাজাতে’। এর কিছুক্ষণ পরই বিষপান করে সাকিব। পরে আত্মীয়স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই গভীর রাতে মারা যায় সাকিব।’