সোনার বাংলা থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ তারপর এখন চলছে স্মার্ট বাংলাদেশ। এনালগ থেকে ডিজিটাল, ডিজিটালের পর বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে টাকা ভরতেই যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে। দ্বিগুণ, তিনগুণ পর্যন্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। টাকা রিচার্জ করতে করতে গ্রাহকরা এখন দিশেহারা। এমন অহরহ অভিযোগ গ্রাহকদের, তাদের একটিই জিজ্ঞাসা প্রতি মাসে প্রতি মিটারে এতো টাকা কাটা হয় কেন? যখন মিটার আনা হয়েছে তখনতো সকল বিষয়ে টাকা দেওয়া হয়েছে। মিটারটাও আমাদের কেনা, তাহলে প্রতিমাসে এতো টাকা কেন কেটে নিচ্ছে? আমার এখন দরকার নেই তাই মিটারে টাকা লোড করতেছিনা
আবার যখন দরকার তখন লোড করতে পারছিনা বিগত যতমাস লোড করিনি সেই মাসগুলোর টাকা পরিশোধ করলে তবেই লোড করা যাবে, এটা কেমন নিয়ম! ব্যবহার করলাম না অথচ মাসের টাকা অবশ্যই দিতে হবে! আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।
পনির হোসেন বলেন, আমরা তো অনেক কিছুই বুঝিনা! মিটারে টাকা ভরছি আর সেখান থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে খুব সহজেই। প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করা টাকা কোন খাতে কেটে নেয়া হচ্ছে তার কোনো হিসেব পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ নিয়েও আছে অভিযোগ। কখন রিডিং এর দাম বাড়লো তাতো জানিনা, ইচ্ছে মতো লিডিং এর দাম বাড়িয়ে টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। টাকা লোড করলেই সাবাড়।
ইয়াজল হক ভান্ডারী আক্ষেপ করে বলেন, প্রিপেইড মিটারে অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ বিল দিতে দিতে কঠিন ভোগান্তির মধ্যে আছি। আগে ডিজিটল৷ মিটারে বিদ্যুৎ বিল দিতে হতো আট শত টাকা থেকে এক হাজার টাকা। আর বর্তমানে বিল দিতে হচ্ছে তিন হাজার টাকার উপরে। মাসের পর মাস বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল বাড়াতে বাড়াতে আমাদের কে নাজেহাল করে ফেলেছে সরকার। এতো বিল দিলে সন্তানদের লেখাপড়া চালাবো কিভাবে, সংসার চালাবো কিভাবে। আমরা সাধারণ নাগরিক। স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা পরাধীন। কথা বলার বাকস্বাধীনতা ও নেই আমাদের। সরকার সব সময় বলে এসেছে “এই সরকার জবাব দিহিতার সরকার” “একমাত্র জণগণই সকল ক্ষমতার উৎস” সরকার নির্বাচনের পূর্বে তাদের ইশতেহারে যা যা ছিল তার কয়টা বাস্তবায়ন হয়েছে? আর কুলাতে পারছি না। দেশের সাধারণ জনগণের পিঠ যদি দেয়ালে ঠেকে যায় তাহলে পরিণতি ও পরিস্থিতি ভালো হবে বলে মনে হয় না। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট চুরি হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হচ্ছে হাজার লক্ষ মানুষ প্রতিবাদ করেই যাচ্ছেন কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সরকারের সুদৃষ্টি সাধারণ জনগণের উপর থেকে সরে গেছে। অতি বিনয়ের সাথে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের সহায় হোন এবং বাঁচতে দিন।
আলী নওশাদ আনোয়ার তুষার অভিযোগ করে বলেন, বেশি টাকা রিচার্জ করলেও কম টাকা পাই। মিটার আমার তবে মিটারের জন্য কেন টাকা কাটা হচ্ছে। তাছাড়া এখনতো আর রিডিং লিখতে লোক লাগেনা, তাদেরকে বেতন দিতে হয়না। তবে কেন এতো কারাকারী, হিসেব ছাড়াই কেটে নেয়া হয় টাকা, বুঝে উঠতে পারিনা কিছুই। তার দাবি প্রিপেইড মিটার বাদ দিয়ে আবারও পোস্ট পেইড নয়তো ডিজিটাল মিটার চালু করা হোক।