দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজধানীর লাগোয়া নারায়ণগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের জনসভায় আসছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সর্বশেষ এই জনসভাতে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
ক্ষমতাসীন দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শহরজুড়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। জনসভাস্থল ও প্রধানমন্ত্রীর আসা-যাওয়ার পথে পোশাকে ৩ হাজার পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
এসপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিয়ে থাকে। তাদের সাথে সমন্বয় করে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়েছে।’
জনসভা চলাকালীন আশেপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার কোন পরিকল্পনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তবে প্রয়োজনে কিছু যান চলাচলের ক্ষেত্রে ‘ডাইভারশন’ ব্যবস্থা করা হবে৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কপথে আসার কথা রয়েছে৷ এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে জনসভাস্থলে মঞ্চ করা হয়েছে, সাজানো হয়েছে চেয়ার৷ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের ফতুল্লা স্টেডিয়ামের সামনে একটি তোরণ নির্মাণ করতে দেখা গেছে৷ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেস্টুন সাঁটানো দেখা গেছে৷
এক যুগেরও বেশি সময় দলের সভানেত্রীর আগমনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতারা৷ লাখো মানুষের জনসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতির কথাও জানান তারা৷
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নারায়ণগঞ্জ আসার খবরে আমাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে৷ এত কঠিন শিডিউলের মধ্যেও উনি নারায়ণগঞ্জে আসার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীকেও সম্মানিত করছেন৷’