সারা দেশে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ সাশ্রয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং হবে। এক সপ্তাহ পরীক্ষামূলক করা হবে। এরপর দুই ঘণ্টা করা হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য এটা করা হচ্ছে।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এক হাজার মেগাওয়াট তেলের পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছি। এতে আমাদের এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি হবে। বিশ্বের সব দেশই বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পলিসিতে যাচ্ছে। আমরাও সে পন্থায় যেতে চাই।
শিল্প এলাকায় গুরুত্ব দিয়ে লোডশেডিং পরিকল্পনা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আরও কিছু সিদ্ধান্ত আছে; এর মধ্যে উপাসনালয়, সরকারি অফিস-যানবাহনে এসি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে। সভা সমাবেশ অনলাইনে করা, তেলের পাম্প পর্যায়ক্রমে এক দিন বন্ধ করা হতে পারে। যদিও সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিদ্যুতের সাশ্রয়ের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৮টা থেকে শপিং মল বন্ধসহ সকল ধরনের আলোকসজ্জা বন্ধ থাকবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করা, সপ্তাহে একদিন ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখাসহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় কমিয়ে আনা, অনলাইনে অফিস করার পরিকল্পনা করছে সরকার। সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এ সময় দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং পৃথিবীর এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে দেশের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তৌফিক-ই-ইলাহী।
সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে যে পরিকল্পনা করছে, যে নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে- তা না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা।