বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যেই কমিটি ঘোষণা করা হবে। আপনারা যারা বাদ পড়বেন এর জন্য কেউ কোন মান অভিমান করবেন না।
কারন ৩১ জনের বেশি কমিটিতে দেয়া যাবে না। আমি বলতে চাই যখন পূর্ণ কমিটি দেয়া হবে সকলকেই যেন অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে ব্যবস্থা করবো। যাদের ইউনিয়নে হবে না থানায় হবে সেখানে না হলে জেলায় হবে।
কোন না কোন ভাবে যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে যাদের দেখি, চিনি। রাজপথে যারা সক্রিয় তাদের সকলকেই চিনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস কেউ বাদ পড়বেন না৷
শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাসদাইর এলাকার মজলুম মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গন-অনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে গণঅনশনের শুরুতে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। এই সরকার তাকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছেনা।
আমরা এর তীব্র নিন্ধা প্রতিবাদ জানাই। এই মুহুর্তে আমাদের দাবি বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থার। চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকার গড়িমসি করলে এর পরিণতি ভালো হবে না।
গণঅনশনে উপস্থিত উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম-আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, এড মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, জাহিদ হাসান রোজেল, লুৎফর রহমান আবদু, নজরুল ইসলাম পান্না, জেলা বিএনপির সদস্য এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য মোশারফ হোসেন, বাছিরউদ্দিন বাচ্চু, রিয়াদ মোহাম্মাদ চৌধুরী, একরামুল কবির মামুন, রুহুল আমিন, রহিমা শরীফ মায়া, রিয়াজুল ইসলাম, জুয়েল আহনেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিব, জেলা মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক রুমা বেগম, জেলা তাঁতী দলের আহবায়ক এড শুক্কুর মাহমুদ প্রমুখ।