স্টাফ রিপোর্টার \ ফরিদপুর জেলার মধুখালী শ্রীপুর গ্রামের এক বিদেশ ফেরৎ বহু বিবাহীত দুঃশচরিত্র নারী জুথি সুলতানা (২৪) এর মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় হেনস্তাসহ নানা অভিযোগের কারণে শ্রীপুর গ্রামে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ আফজাল মোল্যা ও তার পরিবারের জীবন অতিষ্ট। জানা গেছে এই নারী জুথি সুলতানা ৩য় বিয়ের পর নিজ কন্যা সন্তান রেখে বিদেশে চাকুরীতে যায় তরুনী এই নারী। দেশে ফিরেই উশৃঙ্খল জীবন যাপন করে। অভিযোগ রয়েছে তার ঘরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরুষের অবাদে যাতায়াত করতো। যা মধুখালী শ্রীপুর গ্রামের মানুষও জানে। দুঃশচরিত্র ঐ নারী জুথি বর্তমানে আরেক প্রবাসী পুরুষ (গনি মিয়া)’কে বিয়ে করেছে, গনি মিয়া পূর্বেও বিবাহিত ছিল। অভিযুক্ত জুথি সুলতানা জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে, নিজ গাছের পেয়ারা পাড়া নিয়ে তুচ্ছ ঘটনার ঝগড়ার ছুতায় তার প্রতিবেশী চাচা আফজাল মোল্যা (৬৫)’কে ২০২৩ সালে হয়রানী মূলক মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। পরে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালত ঘটনা বিচার বিশ্লেষণ করে। জুথি সুলতানার মিথ্যা মামলা খারিজ করে দেয়। কিন্তু তার পরও ঐ নষ্টা নারী ক্ষ্যান্ত হয়নী। তিনি নানা ভাবে বৃদ্ধ আফজাল মোল্যা ও তার পরিবারকে হয়রানী ও সমাজে অসম্মান করতে ঢাকার হাই কোর্টে ২০২৪ সালে আরও একটি মামলা করে বলে শুনা যায়। বয়বৃদ্ধ আফজাল মোল্যা জানান আমি একজন কাঠ মিস্ত্রী বৃদ্ধ মানুষ। কিন্তু অপকর্মকারী জুথি সুলতানা আমার জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ধর্ষণ মামলা দিয়েছে। এর আগেও জুথি ফরিদপুর মধুখালী থানায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্টা করেছে। সে জমি জমার সীমানা সংক্রান্ত বিরোধে পূর্ব শত্রæতা করে আমাকে নানা ভাবে হয়রানী করার চেষ্টা করছে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর নারী শিশু বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে উক্ত জুথি সুলতানার বিরুদ্ধে একটি মানহানী মামলা করি যাহা এখনো চলমান আছে। পরে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ফরিদপুর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পি.বি.আই) তদন্ত করে ঘটনার কোন সত্যতা পায়নী, ফলে তারা আমার পক্ষে সত্য প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। তাই আমি আদালতের কাছে সমাজের কাছে প্রশাসনের কাছে ঐ নষ্টা নারীর বিরুদ্ধে সুবিচার প্রার্থনা করছি, যাতে মামলাবাজ জুথি সুলতানা আর অন্য কোন পরিবারকে এই রকম হয়রানী না করতে পারে।