হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ এবং পুর্নবাসন দাবিতে হকারদের অবস্থান কর্মসূচি ও শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মন্টু ঘোষ, হাফিজুল ইসলাম, জেলা কমিটির সভাপতি আঃ হাই শরীফ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সদস্য এম এ শাহীন, আব্দুস সালাম বাবুল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, গণ জাগরণ মঞ্চের জেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গোলক, আরও বক্তব্য রাখেন হকার্স লীগের মহানগর কমিটির সভাপতি রহিম মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ পলাশ, হকার নেতা সালাম, রানা, শাহীন, সোহেল, তাসির ও নিলুফা বেগম প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে কর্মসংস্থান সংকট, বেকার সমস্যা ও দ্রব্যমূল্যের চাপে জনজীবন নাকাল। এই পরিস্থিতিতে হকাররা নিজ উদ্যোগে অল্প পুজিঁ নিয়ে ফুটপাতে বসে মালামাল বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করছে। হুট করে তাঁদের উচ্ছেদ করা দেয়ার সিদ্ধান্ত অমানিক ও বে-আইনি। পুর্নবাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা চলবে না। দেশের প্রধান মন্ত্রীও বলে ছিলেন পুণর্বাসন ছাড়া হকারদের উচ্ছেদ না করার জন্য কিন্তু একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আ’লীগ সরকার পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রূপ পাল্টে ফেলেছে। সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জের সিটি মেয়র চার-পাঁচ এর সংসদ সদস্য একাট্টা হয়ে শহরকে সুন্দর করার জন্য যানজট নিরসন ও ফুটপাথে পথচারীদের চলাচলে সুবিধার কথা বলে ৫ হাজার হকারের রুটি-রুজি বন্ধ করে দিয়ে তাঁদের পেটে লাথি মেরেছে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, হকাররা রোদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ফুটপাতে দোকানদারি করে তাঁরা রাস্তা দখল করে যানজট তৈরি করে না। রাস্তায় লেগুনা, সিএনজি স্ট্যান্ড ও প্রাইভেটকার, মটরসাইকেলের অবৈধ পার্কিং এর জন্য যানজট হয়। সেই দোষ হকারদের উপর চাপিয়ে উচ্ছেদ করবেন তা বরদাস্ত করা হবে না। সারা বিশ্বের সব দেশেই হকার আছে নিউইয়র্ক শহরেও হকার বসে। তাহলে আমাদের দেশে হকারদের উপর এতো জুলুম-আত্মাচার হয়রানি কেন করা হবে? আমরা কি দেশের নাগরিক নই? আমাদেরও কর্ম করে খাওয়া ও বাঁচার অধিকার আছে। সেই অধিকার কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই। সিটি মেয়র কথায় কথায় বলে হকারদের জন্য মার্কেট করে দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের পাঁচ হাজার হকারের মধ্যে ৬শত দোকান করে দিছে বাঁকীরা কই যাবে? তিন হাত বাই তিন হাত জায়গার দোকান দিয়ে দোকানদারি করা যায় না। বহুতল ভবনে হকার মার্কেট বানিয়ে পুর্নবাসন করতে হবে। তাঁর আগ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে একটা নিয়ম নীতির মধ্যে ফুটপাতে হকারদের বসতে দিতে হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে দোকানদারি করতে পারছি না। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম সংকটে মানবতর জীবন-যাপন করছি। অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে হকারদের সমস্যা সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।