মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেনের মারিউপোল শহরকে সফলভাবে মুক্ত করার যে দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করেছেন তা ‘প্রশ্নবিদ্ধ’। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাইডেন বলেন, তিনি (পুতিন) মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন কী না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। মারিউপোলের পুরোপুরি পতন হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।
বাইডেন আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় আটকে পড়াদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পুতিনকে মানবিক সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, মারিউপোল শহরকে সফলভাবে মুক্ত করার দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে মারিউপোলে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের সর্বশেষ ঘাঁটি আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা এলাকাটি এখনো রাশিয়ার দখলে আসেনি। ওই এলাকাতে অভিযান চালানোর পরিবর্তে অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ওই শিল্প এলাকাটিতে প্রবেশ করার কোনোই দরকার নেই। বরং ওই এলাকা অবরুদ্ধ করে দিন যেন একটি মাছিও পালাতে না পারে।
এর আগে মারিউপোল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়টি পুতিনকে অবহিত করেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে শোইগু পুতিনকে জানান, মারিউপোল স্বাধীন হয়েছে। তবে আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় প্রায় দুই হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য প্ল্যান্টের ভিতরে রয়ে গেছেন। সেখানে ভূগর্ভস্থ টানেলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন তারা।
তখন শোইগুকে ওই ইউক্রেনীয় সেনাদের অবরুদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়ে পুতিন বলেন, মারিউপোলের ‘স্বাধীনতা’ রুশ বাহিনীর জন্য একটি ‘সফলতা’। তবে আজোভস্টাল শিল্প এলাকায় হামলা করা ‘অকার্যকর’ বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
আজভ সাগরের তীরবর্তী শহর মারিউপোলের পুরো দখল নেওয়াটা রুশ বাহিনীর জন্য একটি কৌশলগত বিজয়। কারণ মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ফলে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্বের দোনবাস অঞ্চল হয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চালীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার করিডর স্থাপন সহজ হবে। এর ফলে নিজেদের বেশিরভাগ উপকূলীয় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারাবে ইউক্রেন।