শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

পাগলায় পরীক্ষার ফি না দেয়ার ছাত্রকে বের করে দেয়ার অভিযোগ

  • আপডেট সময় শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২, ৩.১৭ এএম
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্রেনী কক্ষের বেঞ্চে দাড় করিয়ে রাখার পর এবার পরীক্ষার ফি পরিশোধ না করায় শ্রেনী কক্ষ থেকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রকে বের করে দিয়েছে স্কুল শিক্ষক।

ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তিনদিন পূর্বে ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার রাতে তা প্রকাশ পায়। এতে করে শুক্রবার সকালে স্কুলটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা শুক্রবার সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ জড়িত অপর দুই শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে প্রাপ্তি সিটির মাঠে বৈঠক করেছে। বৈঠক শেষে তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বজেন্দ্র নাথ সহ অভিযুক্ত শ্রেনী কক্ষের শিক্ষক মৌসুমি সাহা ও যুগর দাসের শাস্তির দাবীতে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাটিয়ে দিয়েছে এবং তারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।

 

পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহের মোল্লা, প্রাক্তন স্কুল ছাত্র ও অভিভাবক মহসিন, শাহ আলম পলাশ, রনি, ফেরদৌস (ব্যাংকার)সহ বেশ কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে এক মাসের বেতন বকেয়া থাকায় দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে স্কুলের শিক্ষিকা মৌসুমি সাহা শ্রেনী কক্ষের বেঞ্চে দাড় করিয়ে রাখে। একদিন পর পরীক্ষাচলাকালীন সময়ে ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রকে পরীক্ষার ১৫ মিনিট পর শ্রেনী কক্ষের শিক্ষক যুগর দাস বেতন পরিশোধ না করায় শ্রেনী কক্ষ থেকে বের করে দেয়। এ নিয়ে তারা বৈঠক করেছে। বৈঠক শেষে তারা প্রধান শিক্ষক সহ অপর দুই শিক্ষকের শাস্তি দাবী করেছে। মানববন্ধন সহ একাধিক কর্মসূচীর গ্রহণ করবেন বলে তারা জানান।

 

এ বিষয়ে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজেন্দ্র নাথ সরকার জানায়, বিষয়টি তিনি বৃহস্পতিবার জেনেছেন। এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে দশম শ্রেনীর ছাত্রীদের কোন ছাত্রীর বেতন বকেয়া আছে কিনা তা জানতে চেয়ে স্কুল শিক্ষিকা মৌসুমি সাহা বকেয়া থাকা ছাত্রীদের দাড়াতে বলেছিলেন। অপরদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রকে বের করে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে শ্রেনী কক্ষের শিক্ষক যুগোর দাসের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি শ্রেনীকক্ষের মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কারো বেতন বকেয়া থাকলে প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে আসার অনুরোধ করে। এতে করে স্কুলের এক ছাত্র বিষয়টি বুঝতে না পেরে সরাসরি বাসায় চলে যায়। শুধুমাত্র ভুল বুঝাবুঝির কারণেই এ ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, একটি মহল বা পক্ষ স্কুলের বদনাম করার জন্য এ জাতীয় কুৎসা রটাচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort