রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

পরিবহন ধর্মঘটে পথে পথে ভোগান্তি

  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১, ৪.৩২ এএম
  • ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে পথে পথে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। পরিবহন ধর্মঘট থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কিছুসংখ্যক বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন চলছে।

তবে তা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় বাসে উঠতে পারছেন না অনেক যাত্রীই। তাই হুট করে ঢাকা এই ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন সাইনবোর্ড, সানারপাড় ও শিমরাইলে দেখা যায়, ছুটির দিনেও মহাসড়কে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। যাত্রীরা গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেলে বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন।

পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়টি অনেকেই জানেন না। বাসে উঠতে না পারলেও দূরের গন্তব্যে যেতে যাত্রীরা প্রাইভেটকার, পিকআপ ও সিএনজি ব্যবহার করছেন। এই সুযোগে কেউ কেউ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন।

 

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় বিআরটিসি পরিচালিত গণপরিবহন বন্ধ করে দেয় আন্দোলনরত শ্রমিকরা। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশের একাধিক দল। শেষ পর্যন্ত পরিবহণ শ্রমিকদের মারমুখি আন্দোলনের মধ্যে সরকারী এই বিআরটিসি বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ।

ব্যবসায়ী রোমেল হায়দার বলেন, সরকার ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। ডিজেলের দাম কমানোর দাবি থাকলে সেটা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা করা যেত। কিন্তু তাঁরা সেটা না করে ধর্মঘট ডেকে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছেন।

তিন বছরের নাতিকে নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন কুমিল্লার হাজেরা বেগম। তিনি বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তিনি বাসের দেখা পাননি। কীভাবে যাবেন বুঝতে পারছেন না।

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘট ডাকায় শিমরাইল বাস কাউন্টারে বেশ কয়েকজন যাত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তাঁরা যখন-তখন ধর্মঘট ডাক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। ধর্মঘট ডাকার আগে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি তাঁদের মাথায় রাখা উচিত। অন্য সময় মহাসড়কে যানজট লেগে থাকত। এখন মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা।

শিমরাইল কাউন্টারে বিআরটিসি বাসের সুপারভাইজার সুরুজ মিয়া বলেন, ধর্মঘটের মধ্যেও তাঁরা আগের ভাড়ায় যাত্রীদের পরিবহন করছেন।

রিতা বেগম নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি সিএনজিতে করে গ্রামের বাড়ি আড়াইহাজারে যাবেন। কিন্তু সিএনজিচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন।

বিষয়টি স্বীকার করে ফরহাদ মিয়া নামে এক সিএনজিচালক জানান, পরিবহন ধর্মঘট থাকায় সিএনজিচালকরা ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছেন।

মহাসড়কের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম জানান, পরিবহন ধর্মঘট হলেও বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলছে। কিন্তু বাস- ট্রাকের সংখ্যা খুব কম।

শিমরাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ধর্মঘটের কারণে মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অল্প কিছু বাস ও ট্রাক চলাচল করছে। স্থানীয় বাসগুলো যে যার মতো করে ভাড়া নিচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, যাঁরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী উৎসব পরিবহনের ব্যবস্থাপক কাজল মৃধা বলেন, ধর্মঘটের কারণে গাড়ি চলাচল তাঁরা বন্ধ রেখেছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বেগ বলেন, ধর্মঘটে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। তবে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক, অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort