চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন বলে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ এ কে এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অর্থ দাবি করার একটি মোবাইল ফোনের কথোপকথন ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ফজলুল হক বলেছেন, এই অডিও সম্পাদনা করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। চলতি মাসের ১৬ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে।
অডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জি বলেন, ‘আমি ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক ছিলাম। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার কারণে নৌকা প্রতীক নিতে চাই। সে কারণে এ কে এম ফজলুল হকের কাছে গেলে তিনি ১ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি বলেন, গাড়ি কিনতে টাকা লাগবে, তাই দিতে হবে। চুক্তি মোতাবেক টাকা নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু অন্য একজন ফজলুল হককে নৌকা প্রতীকের জন্য ১০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছেন বলে তিনি আমার কাছেও সেই পরিমাণ টাকা দাবি করেন। এত টাকা দিতে না পারায় নৌকা প্রতীক আমাকে দেওয়া হয়নি।’
সজল মুখার্জি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি পকেটের টাকা খরচ করে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সুদৃশ্য অফিস করে দিয়েছি। অথচ টাকার কাছে হেরে গেলাম!’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এ কে এম ফজলুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কথোপকথনের অংশবিশেষ সম্পাদনা করে বাজারে ছড়ানো হয়েছে। সজল মুখার্জি এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। সেসব টাকা হজম করতে এসব করছেন।’
সাবেক সাংসদ আরো বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র হয়। বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হওয়ার পর থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা আমার পেছনে লেগেছে। আমি এসবের তোয়াক্কা করি না। কথোপকথনটি সম্পাদনা করে বানানো হয়েছে।’
কথোপকথনের অডিও রেকর্ডটি ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি দলের জন্য বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন জেলা আওয়ামী সহসভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের জানামতে ফজলুল হক একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা আওয়ামী লীগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যা করণীয় তা করা হবে।’