নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনোনীত করে প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান চেয়ারে আসীন করেছেন। তিনি শপথ নেওয়ার পর আমাকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তার নিদের্শনায় আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। জেলার পাঁচটি উপজেলায় জেলা পরিষদের অর্থায়নে এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
রাস্তাঘাট, মাদ্রাসা-মসজিদ, শ্মশান-মন্দির, বিদ্যালয়-কলেজ, রাস্তাসহ ড্রেন নির্মাণ করেছি, যা কখনো জেলা পরিষদ করতে পারেনি। দেখতে দেখতে বুঝতে বুঝতে পাঁচটি বছর চলে যাচ্ছে, কিছুদিন মনে হয় আমার দায়িত্ব পালন করতে পারবো।
এরপর আবার জেলা পরিষদের নির্বাচন আসতে পারে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবার মনোনয়ন চাইবো, আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, আবার অনেক প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নে নেত্রীর কাছে আবারও পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব চাইবো।
শনিবার (১ জানুয়ারি) সদর উপজেলাধীন শিক্ষা অফিস সংলগ্ন ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ড্রেনসহ রাস্তা, দেলপাড়া লিটল জিনিয়াস স্কুলের পাশে ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেনসহ রাস্তা ও নন্দলালপুর হাজী আওলাদ হোসেন স্কুলের ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে মূল ভবনের কাজের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে। এ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন নিয়ে শুধু কথা বলেন না, তিনি উন্নয়ন করে কথা বলেন। আর যারা দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না, তারা সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকি দেন।
সরকার পতন এত সহজ নয়, অনেকবার সরকার পতনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করেছেন। সেই অপরাধ কর্মকাণ্ডের কারণে এখন আর আপনাদের দেখতে চায় না জনগণ। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হারাতে এখন বিএনপি নতুন কৌশলে রূপ নিয়েছে।
কোনো কৌশল বা ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করতে পারবে না। দেশের মানুষ এখন সবকিছু বোঝেন, তারা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেবেন, সেটা আগে থেকে চিন্তা করে রাখে।