রুদ্রবার্তা২৪.নেট: ডাকবাংলো, পুলিশফাঁড়ি অপসারণ ও নিহত পিতা-কন্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে শহরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। স্থাপনা দুটি শহরে যানজট ও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করে সংগঠনটি।
নাগরিক কমিটির জেষ্ঠ সহ সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, নিহত আলতাফ হোসেনের স্ত্রী ও বেলী আক্তারের মা এড. আয়েশা সিদ্দিক, আলতাফ হোসেনের ভাই আলী আসগর, বোন মাহমুদা বেগম, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু, সংগঠনের সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সাধারণ সম্পাদক, খেলাঘর জেলার সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ জেলা আহŸায়ক নিখিল দাস, ন্যাপের জেলা সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনে জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, মহিলা পরিষদের শহর সভাপতি শাহানারা বেগম, নারী নেতৃ পপি রানী সরকার, সমমনার সভাপতি সালাহউদ্দি আহমেদ প্রমূখ।
রফিউর রাব্বি বলেন, দচাষাড়া এলাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। শহরে যানজটের জন্য জনদুর্ভোগ এখন চরম আকার ধারন করেছে। এ যানজটের অন্যতম কারণ চাষাড়ায় অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাকবাংলো। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারী এ স্থাপনা দু’টি অপসারণের দাবি জানালেও প্রশাসনের কোন ভ্রæক্ষেপ নেই। এমনি সড়কে হত্যাতেও তাদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। আমরা লক্ষ করি সরকার রাষ্ট্র ও জনস্বার্থে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের জায়গা অধিগ্রহণ করছে, স্থাপনা ভেঙ্গে দিচ্ছে, অথচ জনগণের প্রয়োজনে, দুর্ভোগ নিরসণের জন্য সরকারী এ স্থাপনা দু’টি তারা ভাংছে না। আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েও অদ্যাবধি কোন সাড়া পাই নি। তিনি বলেন, এখানে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়, কয়েকটি স্কুল ও বহু কোচিং সেন্টার রয়েছে। এপথ দিয়ে হাজারো শ্রমিক প্রতিদিন বিসিকে যাচ্ছে। সকাল থেকে রাত অবধি শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ এ পথে চলাচল করছে। সরকারী এ স্থাপনা দুটি এখন নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগের বড় একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি নিহত পরিবারের প্রতি ক্ষতিপূরণ প্রদানের ও আপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
গত শুক্রবার চাষাড়ায় ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় একই সাথে পিতা আলতাফ হোসেন ও কন্যা বেলী আক্তারের মৃত্যু হয়। আয়েশা সিদ্দিক তাঁর স্বামী ও কন্যা হত্যার বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না, যদি প্রশাসন দ্রæত এ স্থাপনা দু’টি অপসারণ না করে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে নিয়ে এইটি অপসারণে তাদের বাধ্য করবো। সমাবেশে নিহত আলতাফ হোসেনের স্কুল-সহপাঠীরা ‘শম্ভূপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ’ ব্যানারে কমৃসূচিতে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি নিহত পরিবারের প্রতি ক্ষতিপূরণ প্রদানের ও আপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।