পাঁচ দিন আগে নিখোঁজ কৃষি উদ্যোক্তা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দুরন্ত বিপ্লবের লাশ মিললো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে।
ফতুল্লার পাগলা নৌ-ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহজাহান আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার বিকালে পাগলা ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
৫১ বছর বয়সী দুরন্ত বিপ্লব নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলার ছোট ইলাশপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তার পরিবার ঢাকায় থাকে। তিনি কেরাণীগঞ্জে একটি কৃষি খামার চালাতেন।
শাহজাহান আলী বলেন, রাতে বিপ্লবের মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন স্বজনরা৷ গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
“মরদেহ ফুলে চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। মাথায় লালচে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।”
তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি বলে নৌ পুলিশের এ পরিদর্শক জানান।
নিহতের ভগ্নিপতি ইমরুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিপ্লব ১৯৯৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে অর্নাস শেষ করেন। সে সময় তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।
“কেরানীগঞ্জে তার কৃষি খামার ছিল৷ গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরাণীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুরে মায়ের বাসায় যাওয়ার পথে ও নিখোঁজ হয়৷ ওর মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন পাওয়া যায় কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকায়।”
বিপ্লবের লাশ উদ্ধারের পর তার ছোটবোন শ্বাশতী বিপ্লব এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “এমন মৃত্যু ভাইয়া ডিজার্ভ করে না। কোনোদিন না। নারায়ণগঞ্জের পাগলাঘাটে কচুরিপানার উপর এমন অসহায়ভাবে ভেসে থাকতে পারে না দুরন্ত বিপ্লব নামের কিংবদন্তিতুল্য ভাইটা আমার।
“নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে এখন। আমরা কাল রাত ৩টায় সেই ছবি দেখে এসেছি। ৭ তারিখেই ও চলে গেসিলো আমাদের ছেড়ে। কামরাঙ্গীরচর থেকে পাগলা পর্যন্ত ভেসে যেতে ওর ৫ দিন লেগেছে।”
রোববার বাদ আছর মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি মসজিদের সামনে দুরন্ত বিপ্লবের জানাজা হবে।