এ বছর কোরবানীতে ১ লাখ ৬২ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে শিল্প নগরী নারায়ণগঞ্জ জেলায়। মজুদ রয়েছে ২৫ হাজার গরুসহ ১ লাখ ১৭ হাজার পশু। বাকি ৪৫ হাজার পশু এখনও সংকট রয়ে গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় বলছে, ‘সংকট থাকলেও অভাব হবে না। দেশের অন্যান্য জেলা থেকে কোরবানিযোগ্য পশু এসে পুরণ হবে চাহিদা, কিছু গরু আবার নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাতেও যাবে।’
কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ বিষয়ে তথ্য নিতে গিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
গত বছর ঈদুল আযহায় ৩৬ হাজার ৬৪৫টি গরু, ৯১ হাজার ১৫৪টি ছাগল, ২৬ হাজার ৭৭৭টি ভেড়াসহ ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৯টি গবাদিপশু জবাই করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এবছর ৫ শতাংশ চাহিদা বৃদ্ধি পেলে পশু লাগবে ১ লাখ ৬২ হাজার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ২ হাজার ৪৯৫টি খামারে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার গবাদিপশু রয়েছে। বাকি পশুর জোগান দিতে অন্যজেলার পশুর উপর নির্ভর করতে হবে।
গত বছর নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে কোরবানিযোগ্য পশু সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে সদর উপজেলায়, ৫০ হাজারের বেশি। এছাড়া সোনারগাঁয়ে ২৮ হাজার ৫২২, আড়াইহাজারে ২৭ হাজার ৫০০, রূপগঞ্জে ২৬ হাজার ০৭৮ এবং বন্দরে ২২ হাজার।
এ ব্যাপার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ষাঁড়, বলদ, মহিষ, ছাগল ভেড়াসহ নারায়ণগঞ্জে কুরবানী যোগ্য পশু রয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজারের মতো। অন্য জেলা থেকেও পশু আসবে, এখান থেকেও আবার ঢাকায় যাবে। অভাব হবে না, যা চাহিদা রয়েছে, পুরণ হয়ে যাবে।