আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মেয়র পদে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে মেয়র পদে ৭ জনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় ৯টি ওয়ার্ডে ৩৪ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সাধারণ ২৭টি ওয়ার্ডে ১৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ১৪৮ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রইলেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন। তিনি জানান, মেয়র পদে যাচাই বাছাই শেষে ছয়জন চূড়ান্ত হয়। তবে আপিল করে ফিরে আসেন একজন প্রার্থী। এ নিয়ে মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এ পদে।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৫ জনের মধ্য ১৭ জন প্রত্যাহার করে নেয়ায় ১৪৮ জন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জনের মধ্যে একজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ৩৪ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে আগামীকাল (মঙ্গলবার) চুড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এনিয়ে যার যার এলাকায় চলছে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা কে কোন প্রতীক পাচ্ছেন। তবে রাত পোহালেই শুরু হবে প্রতীক বরাদ্দেন কার্যক্রম। প্রার্থী ও তার সমর্থক প্রতীক পেলেই নেমে পড়বেন মাঠে প্রচার প্রচারণায়।
তবে পূর্বের মতই প্রতীক বরাদ্দের সময়ে সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মানতে সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফরোজা।
প্রসঙ্গত, মেয়র পদে ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মো. রাশেদ ফেরদৌস, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও সতন্ত্র প্রার্থী কামরুরল ইসলাম বাবু। এবারের নির্বাচনে ১৮৯ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে মেয়রসহ ৩৭টি পদে পছন্দের ৩৭ জনকে বেছে নিবে ৫ লাখ ১৭ হাজার ভোটার।