নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, সাধারনত প্রেসক্লাবগুলো তাদের পেশা দারিত্বটাই দেখে। এই ধরনের অনুষ্ঠান প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কোথাও আমি দেখিনি। চমৎকার একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করার জন্য নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেসক্লাবের ৭ম তলায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য বিল্লাল হোসেন রবিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদ, প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন, সাধারণ সম্পাদব শরীফুদ্দিন সবুজ।
জেলা প্রশাসক অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সোনা মনিরা যেহেতু একেবারেই ছোট তাই আপনারা আপনাদের পরিবার থেকে তাদের অন্তত পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সর্ম্পকে ধারনা দিবেন। আমাদের অনেক সন্তানেরা আছে যারা বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানেন না, নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস জানেন না এবং যেই স্কুলে পড়ে সেই স্কুলের নামের মহাত্ব বোঝেনা।
তিনি বলেন, আমি কিছু দিন আগে সদর উপজেলার পাশে একটি স্কুলে গিয়েছিলাম। সেই স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করেছিলাম তাদের স্কুলের নামের মহাত্ব কি? তারা বলতে পারে নাই। আমরা যেনো একটু বলতে পারি। এই কাজটি আমাদের অভিভাবকদের, আমাদের টিচারদের। আমরা যদি বুদ্ধিজীবিদের সর্ম্পকে জানাতে না পারি, মুক্তিযুদ্ধের সর্ম্পকে জানতে না পারি, লাল সবুজের পতাকাকেই যদি জানতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালে যে একটি সুন্দর বাংলাদেশ হবে, শক্তির বাংলাদেশ হবে, বঙ্গবন্ধুর যে সোনার বাংলা হবে তখন আমাদের এই সোনামনিরা পিছিয়ে থাকবে। তাই আমি অনুরোধ করবো আমাদের সোনামনিদের বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও নারায়ণগঞ্জের সর্ম্পকে জানাবেন।
এসময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিজয় দিবসের সকল অনুষ্ঠানে এবং ১৬ ডিসেম্বর একটি বিশেষ প্রোগামে পৃথিবীর বুকে প্রথম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একই সাথে ৬০ বিলিয়ন মানুষ নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন তার জন্য সকলকে ওসমানী পৌর ইস্টেডিয়ামে বেলা ৪ টায় সমবেত হওয়ার আহবান জানান।