দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জের তিনটি ইউনিয়নের ১৬টি ইউনিয়নে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। দিনরাত প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়েছেন। উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, মিছিল মিটিং করে রীতিমত হাফিয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা।
প্রচারণার সকল হিসেবে নিকেষের ফলাফল মিলবে ১১ নভেম্বর বিকাল ৪টার পর। ওইদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জানা যাবে কারা পড়ছেন গলায় বিজয়ের মালা।
এদিকে ভোটের সকল ধরনের প্রস্তূতি ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যালেট পেপার, ব্যালট বাক্স, ইভিএমন মেশিনসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ১৬টি ইউনিয়নের ২৭৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের কথা থাকলেও রপগঞ্জ মুড়াপাড়ার ৪টি কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় এ কেন্দ্রগুলোতে কোন ভোট হবে না। তবে ৩১টি কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন চলবে।
জেলা নির্বাচন কমিশন সূএে জানা গেছে, ১৬টি ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৭ লাখ ৮ হাজার ৬৮১ জন। নির্বাচনে ৫১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সাধারন মেম্বার প্রার্থী ৫৩১ জন ও সংরক্ষিত আসনে ১৫১ জন্য প্রাথী নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করবেন।
এদিকে নির্বাচনী এলাকায় বুধবার (১০ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ১১ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষে নির্বাচনী এলাকায় নামানো হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
এছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের সাজা দিতে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।