রুদ্রবার্তা২৪.নেট: গত দশদিনে নারায়ণগঞ্জে ৫৬৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২২ জুন থেকে এই জেলায় চলছে সরকারঘোষিত কড়া বিধিনিষেধ তথা লকডাউন। তবে লকডাউন দিয়েও থামানো যায়নি করোনার সংক্রমণ। উল্টো নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে বেড়েছে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর ভূমিকায় রয়েছেন বলে জানাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
গত ২২ জুন সকাল ছয়টা থেকে নারায়ণগঞ্জসহ রাজধানীর পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় কড় বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। কড়া বিধিনিষেধ ঘোষণার পরদিন ২৩ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলায় ২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার আগে চব্বিশ ঘন্টায় ২৩৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ৩০ জুন সাত জেলার কড়া বিধিনিষেধের সময় শেষ হলে ১ জুলাই থেকে সারাদেশে শুরু হয় লকডাউন।
সর্বশেষ শুক্রবার (২ জুলাই) ১০৯ জনের দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। গত চব্বিশ ঘন্টায় ২৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত নারায়ণগঞ্জ জেলার কোভিড পরিস্থিতির তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, গত ২২ জুন নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ২৫। মাত্র দশদিনের ব্যবধানে নশনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৮৫ এ। অথচ গত দশদিনই নারায়ণগঞ্জ জেলায় ঘোষিত ছিল সরকারি কড়া বিধিনিষেধ।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত নতুন করে এই লকডাউন চলবে আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। লকডাউন কার্যকরে জেলাজুড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সেনাবাহিনীর ৩টি পেট্রোল দল ও ২ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করাহয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ২০ টিম ও জেলা পুলিশের ৩০ টিম কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৪৩টি মামলার বিপরীতে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।