আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় ক্ষোভে ভাসছে যাত্রীরা। অনেকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দপ্তরে স্মারক লিপি দিতে চাইছেন। কেউ কেউ বলছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে পাগলা পর্যন্ত চালু রাখার কথা।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া অংশে ৩টি পৃথক রেল লাইনের নির্মাণ কাজ চলায় পথটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অসমর্থিত একটি সূত্র বলছে, ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকতে পারে এই রেলপথ।
নারায়ণগঞ্জের এই পথে বর্তমানে প্রতিদিন ৯টি ট্রেনে ১৮ হাজারের বেশি যাত্রী আসা যাওয়া করে। এখন থেকে সেই যাত্রীদের চলাচলের রাস্তা হবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড। কিন্তু সেই পথেও চলছে সংস্কার কাজ। এতে ভোগান্তি বাড়বে কয়েক গুন। সাথে বাড়বে ব্যয়।
সুমন বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি জানান, এই পথের অনেকেই বিনা টিকেটের যাত্রী ছিল। ট্রেনে ১৫ টাকা ভাড়া দিতে চায়নি, এখন তাদের ৫৫ টাকা টিকেট নিয়ে গাড়িতে উঠতে হবে। এছাড়া দূভোগতো থাকবেনই।
সংবাদ মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ নভেম্বর জানানো হয়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া অংশে ৩টি পৃথক রেল লাইনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রটে চলাচলকারী সব ট্রেন ৪ ডিসেম্বর থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দ্রুত কাজ শেষে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
রাজ রাজ্জাক নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা যারা ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেনে চলাচল করি। আমাদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দপ্তরে স্মারক লিপি দেওয়া উচিত। ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ এর হাজার হাজার যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ট্রেন চলাচল বন্ধ না করলে ভালো হয়।’
মোহাম্মদ আল মামুন নামের এক যাত্রী বলেছেন, পুরো রুট বন্ধ না রেখে নারায়ণগঞ্জ টু পাগলা বা শ্যামপুর পর্যন্ত চালাতে পারতো।