করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৬ হাজার ২০০ জন টিকা পেয়েছেন। মোট ২৭টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়েছে আজ।
তবে, বেশিরভাগ মানুষ টিকা না পেয়ে ফিরে যাওয়ায় গণটিকা কার্যক্রমের সময় ও কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) ডা. শেখ মোস্তফা আলী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘সিটি করপোরেশনের ১২ ও ১৪ নং ওয়ার্ডে করোনা টিকা নিতে দীর্ঘ লাইন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি কাউকে। এখানের ছয়শ মানুষকে টিকা দেওয়ায় অধিকাংশকে টিকা না নিয়ে ফেরত যেতে হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭টি কেন্দ্রে ১৬ হাজার দুইশ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ টিকাদান কেন্দ্রে নিবন্ধন করলেও ৮০ ভাগ ব্যক্তিই আগে থেকে নিবন্ধন করেছেন। এ কারণে দুপুর ২টার মধ্যে আমাদের সব কেন্দ্রে প্রথম দিনের টিকা দান শেষ হয়। ৯ আগস্ট আরও একদিন টিকা দেওয়া হবে। ফলে যারা আজ টিকা দিতে পারেনি, তাদের আগামীকাল আসতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ও শতভাগ সফলভাবে টিকা কার্যক্রম শেষ হয়। লোকবল কম থাকায় টিকাদান কেন্দ্রে কিছুটা ভিড় হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকটি ওয়ার্ডে যেখানে ছয়শ জনকে টিকা দেওয়া হবে সেখানে কয়েক হাজার মানুষ জমা হয়ে যায়। ফলে এ ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এজন্য সরকারের কাছে অনুরোধ গণটিকা কার্যক্রমের সময় আরও বাড়ানো হোক। আর মানুষের ভিড় থেকে করোনা সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রও বাড়ানো হোক। তাহলে মানুষকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। আর মানুষও করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবে।’ (ডেইলি স্টার)