নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে দ্রæত একটি মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর বনাবো। এটা আমরা পরিকল্পনা করেছি। বন্দরের সমরক্ষেত্র জয়গা আছে সেই জাইগাটি বাছাই করেছি। আপনাদের ছবি যেন বাধাই করে রাখতে পারি এবং যত মুক্তিযোদ্ধা আছে তাদের ছবি বাধাই করার চেষ্টা করবো।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এক গ্রæপ ( দল) ছিলো স্বাধীনতার বিপক্ষে আরকে গ্রæপ ছিলো স্বাধীনতার পক্ষে। পক্ষের শক্তি আমরা সবাই যোদ্ধা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেলো। এতোটি বছর আমরা সময় পার করেছি। আমাদের যা কিছু সম্মান দেবার তার সবকিছু বঙ্গবন্ধুর।
তিনি আরো বলেন এখানে অনেকে (মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা) আছেন আমার মা’র বয়সে দাদীর বয়সের। আমি দাদীর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনেছি। দাদী অনেক সাহসি ছিলেন। তিনি অনেক বড় রান দা নিয়ে বাড়ি পাহাড়া দিতেন। দাদাকে বলেছিলেন বাচ্চাদের নিয়ে পালাতে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রিফাত ফেরদৌস, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামিজা ইয়াসমিনসহ প্রমুখ।
এর আগে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জেলার ১৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নারীদের সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ি ও স্যুভেনিয়র প্রদান করেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তাদের এই প্রথম জাতীয়ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
যাদেরকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার বেগম, জমিলা বেগম, নলিনী রঞ্জন কর, রোকেয়া সুলতানা, শিখা চক্রবর্তী, দিপা ইসলাম,পবিতা সিরাজ, মঞ্জশ্রী নিয়োগী দাস গুপ্তা, আয়তন নেছা, আরতী ধর, মাসুদা সুলতানা, সুলতানা রাফিয়া, আনোয়ারা বেগম, মুক্তা বেগম, মিনারা বেগম, ফোরকান বেগম, মমতাজ বেগম।