ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলায় ৬ সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। আদালত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের (রিমান্ড) নির্দেশ দেয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের সূত্রমতে, গ্রেপ্তারকৃত ৬ জন বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে বেআইনিভাবে ভারতে আসে। ব্যান্ডেলের আবাসনে বসবাস করত তারা। তবে স্থানীয়দের ওই ৬জনের আচার আচরণে সন্দেহ হয়। খবর পায় পুলিশ। গোপনে ওই ৬জনের উপর নজরদারি চলতে থাকে। এরপর শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ওই আবাসনে ব্যান্ডেল থানার পুলিশ আধিকারিক শের আলি মণ্ডল, উৎপল মল্লিক এবং সুদীপ মালিকের নেতৃত্বে গোপন অভিযান চলে। গ্রেপ্তার করা হয় ৬ জনকে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকতৃরা স্বীকার করে তারা বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে ভারতে এসেছে। কেউ পেট্রপোল, কেউ আগরতলা ও আবার কেউ ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছে।
ধৃত ৬ জনের কেউ সাত-আট মাস আগে আবার কেউ দুই-তিন মাস আগে বাংলাদেশি এজেন্টের মাধ্যমে বাংলায় প্রবেশ করে। বাংলাদেশি ওই এজেন্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের আকাশ দাসের। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে আকাশ দাস এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড। ব্যান্ডেলের গ্রিন পার্ক এলাকায় একটি আবাসনে আকাশ তার নিজের ফ্ল্যাটে ধৃতদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল।
পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। ধৃতরা খুব কম সময়ের মধ্যেই আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলেছিল। এদের মধ্যে কারো কারোর ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে। মোটা অর্থের বিনিময় আকাশ দাস অবৈধ উপায়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ও পাসপোর্ট বানানোয় সাহায্য করেছে। কী পরিকল্পনা ছিল অনুপ্রবেশকারীদের, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।