রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে ৯ মামলা : আসামি ৫৪৪৩, গ্রেপ্তার ৩০৯

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪, ৬.০৮ এএম
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভবন, পুলিশের স্থাপনাসহ ১৩ টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ যানবাহনে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়।

এছাড়াও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় সড়ক মহাসড়কে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ ১৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৩৫ জন পুলিশ ও চারজন সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক। এসব ঘটনায় গত ৭২ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন থানায় ৫৪৪৩ জনকে আসামি করে ৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জন আটকসহ ৩০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তাররা কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া মোড়, ২নং রেলগেট, সদর থানা, ফতুল্লা থানার জালকুড়ি, ভূঁইগড়, সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল, চিটাগাং রোড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি অফিস সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ পিবিআইএ অফিসেও হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৯ জুলাই কাঁচপুর মেঘনা টোল প্লাজা, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এসবি গার্মেন্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সাইনবোর্ড হাইয়ে পুলিশ বক্স, বন্দর ধামগড় ফাঁড়ি, জালকুড়ি শীতল বাস ডিপো পুড়িয়ে দেয়।

গত ২০ জুলাই শিমরাইল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে গত ২১ জুলাই পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারীদের অপসারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশসাক মাহমুদুল হক বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেলার সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করেনি। এগুলো সরকার বিরোধীদের কাজ। প্রতিটি ঘটনার জন্য আলাদা আলাদা মামলা হচ্ছে। দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

এদিকে বুধবার নারায়ণগঞ্জে সচল হয়েছে প্রায় সবধরনের শিল্প-কারখানা। সকাল থেকে প্রায় শিল্প-কারখানায় ফিরেছেন শ্রমিকরা। তবে প্রথমদিন কর্মস্থানে যোগ দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।

কারখানা শ্রমিক-মালিকরা জানান, সাধারণ মানুষ কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চায় না। তারা স্বস্তি চায়। মানুষ যাতে স্বাভাবিকভাবে ঘর থেকে বের হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারে সেটি নিশ্চয়তা চায়। জ্বালাও-পোড়াও, সম্পদ ধ্বংস করা সন্ত্রাসীর কাজ। যারা এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort