নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবািহনীর সংঘর্ষ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগের নতুন করে আরও ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে মামলাগুলো করেন। এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৩টি, ফতুল্লা থানায় ২টি, বন্দর থানায় ১টি ও সদর থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধানসহ ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে পুলিশ বাদী হয়ে ১২টি ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাগুলোতে যত অভিযোগ
পুলিশ জানায়, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে আসামিরা চাষাঢ়া মোড়, ২নং রেলগেট, সদর থানা, ফতুল্লা থানার জালকুড়ি, ভূঁইগড়, সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল, চিটাগাং রোড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি অফিস সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ পিবিআইএ অফিসেও তারা হামলা করে। এছাড়াও কাঁচপুর মেঘনা টোল প্লাজা, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। সেই সাথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এসবি গার্মেন্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সাইনবোর্ড হাইওয়ে পুলিশ বক্স, বন্দর ধামগড় ফাঁড়ি, জালকুড়ি শীতল বাস ডিপো পুড়িয়ে দেয়। শিমরাইল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে গত ২১ জুলাই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারীদের অপসারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ২৫ জুলাই দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ১৪টি নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়। এবং রাতে চারটি থানায় নতুন করে আরও ৮টি মামলা দায়ের করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম-অপারেশন) চাইলাউ মারমা জানান, ১৪ মামলার পর নতুন করে আরও ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৩টি, ফতুল্লা থানায় ২টি, বন্দর থানায় ১টি ও সদর থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আরও ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫দিনে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪৩৬ জন।