কিরণ শংকর দে: নারায়ণগঞ্জ শহর ও এর আশপাশের এলাকা দিয়ে মানুষের মাথার উপর এখন ধুলোবালি উড়ছে।চারিদিকে শুধুই ধুলোবালি আর ধুলোবালি। এতে প্রায় মানুষের শ্বাস কষ্টের রোগ দেখা দিয়েছে। অনিয়ম তাান্ত্রিক ভাবে গড়ে ওঠা এসমস্ত কলকারখানা থেকে ধুলোবালি বের হওয়ার কারণে শিশু এবং বয়স্ক লোকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছেন, কারণ তারা একই স্হানে দীর্ঘখন থাকাতে শ্বাস কষ্টের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায় গিয়ে দাড়িয়েছে যে নাকে, মুখে রুমাল খুঁজে দিয়েও ধুলোবালির থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। এসমস্ত ধুলোবালি কল কারখানা থেকে বের হয়ে এসে মানুষের নাকে,কানে,মুখ ও চোখ দিয়ে মানবদেহে প্রবেশ করছে। সব চেয়ে মারাত্বক খারাপ অবস্থা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকা। এসমস্ত এলাকায় রয়েছে প্রচুর ছোট বড় কলকারখানা। আরএ সমস্ত কলকারখানা দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচুর ধুলো বালি বেরিয়ে আসছে। স্বাস্থ্য বিধিবিধান না মেনে এক তরফাভাবে সমস্ত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রীকভাবে কলকারখানার মালিকরা বায়ুদূষণ করে ধুলোবালি উড়ানোব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে হাঁচি -কাশি ও শ্বাস কষ্টের মতো মারাত্বক রোগ। এমনিতেই এখন শীত মৌসুম বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধুলো বালি পরিবেশের ওপর মারাত্বক প্রভাব ফেলবে। শুধু তাই না কলকারখানার ধুলোবালিতো আছেই, তার মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাটে ফেলে রাখা ভবন নির্মাণ করার ইট,বালি,সিমেন্টের ধুলোবালির জ্বালা। যে কারণে ঘরের ভিতরের পরিবেশের ওপরও ধুলো বালি হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার একাত্ম প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।৷