নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান হাত কড়জোড় করে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, আগামীকাল ওমরাহ্ হজে যাওয়ার আগে এক টাই ম্যাসেজ আছে। আল্লাহর ঘরে যাচ্ছি। সবার জন্য দোয়া করবো। শুধু নারায়ণগঞ্জবাসী না, সারা দেশবাসির জন্য দোয়া করবো।
একটা কথাই বলতে চাই, মানুষ কে কখন মারা যাবে কেউ জানে না। নিজের অজান্তে যদি কোন ভুল ত্রুটি করে থাকি তাহলে আল্লাহর ওয়াস্তে সবাই আমাকে মাফ করে দিবেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে চাষাঢ়া হিরামহল সংলগ্ন মসজিদে এ কে এম সামসুজ্জোহার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমার বাবা আমাদের জন্য কিছু রেখে যাননি। চাইলে নারায়ণগঞ্জের অর্ধেকটা কিনতে পারতেন। কিন্তু আমাদের কিছু দিয়ে যাননি। তাই হয়তো আমরা তিন ভাই সংসদ সদস্য হতে পেরেছি। এ আংটিটা আমার বড় ভাই আমার মাকে দিয়েছিল।
আমার মা এ আংটিটা দিয়ে বলেছিল নাও এটা। তোমার সঙ্গে আমিও থাকি, নাসিমও থাকবে। সেদিন মা হাসপাতালে। যেহেতু গোগনগর আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আমাকে আসতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। আমি মাত্র রাইফেল ক্লাবে এসে মেম্বারদের নিয়ে বসেছি, এমন সময় আমার স্ত্রীর ফোন আসে। মা লাইফ সাপোর্টে।
তিনি আরও বলেন, যারা বাবা-মায়ের ছায়াতলে আছেন তারা জানবেন মৃত্যুর সময় আমার মা বলেছেন তার কষ্ট হচ্ছে না, কারণ তিনি চিন্তা করেছেন আমার ছেলে যদি জানে আমার কষ্ট হচ্ছে তাহলে সেও কষ্ট পাবে। এ দুনিয়ায় আমরা এসেছি ভালো থাকতে। আমরা সবাই মিলে সমাজটাকে ভালো রাখতে কাজ করি। আল্লাহ যেন আমাদের তৌফিক দেন।
সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভাষা সৈনিক এ কে এম সামসুজ্জোহার ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে প্রতি বছরের মতো চাষাঢ়া জামে মসজিদে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রয়াত এই আওয়ামী লীগ নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, গণ পরিষদের সদস্য ও স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ সদস্যও ছিলেন।