নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডস্থ বন্দরের শাহীমসজিদ এলাকার কৃতি সন্তান সন্তান খালিদ সাইফুল্লাহ নাট্য জগতে জাতীয় পর্যায়ে নিজেকে মেলে ধরতে নিয়মিত কাজ করছেন। শৈশব থেকে তার নাটক সিনেমার প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকেই প্রথম মঞ্চ নাটক দিয়ে নাট্য জগতে পদার্পন করেন। এরপর তিনি নানাভাবে বিভিন্ন ছোট-বড় নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের নজরে আসেন।
তথ্য সুত্রে জানা যায়,প্রয়াত নাট্যকার মিলন সরকারের হাত ধরে কথক নাট্য দলের মাধ্যমে মেরাজ ফকিরের মা নাটক দিয়ে নাট্য জীবন শুরু। তারপর কথক নাট্য দলের হয়ে ওরা কদম আলী, তনু পতিতা,সন্তান,মহাপুরুষ, স্মৃতিচিহ্ন,আমাদের সন্তানেরা,ক্ষেপা পাগলার পেচালসহ বহু নাটকে অভিনয় করেন। ছুটি দিন পর ‘ন্যায়বিচারক’ টেলিফিল্ম এর মাধ্যমে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন টেলিফিল্মটিতে। অভিনয় করেন দেশের সেরা অভিনেতা প্রয়াত শক্তিমান সাদেক বাচ্চু, খালেদা আক্তার কল্পনা, সরল হাতমত সহ আরো অনেক গুনি শিল্পীরা। তারপর ধারাবাহিক নাটক রুটি বাবা,রুখো ইভটিজার, মানুষ, ড্রিম লাভ, তনু পতিতা, মন্টুচোরা, আনস্মার্ট প্রেমিক, তেলবাজ, দুলাভাই জিন্দাবাদ ,হেট্রিক লাভার,চার পর্বের ধারাবাহিক পাতি মাস্তান, জবলেস, তিন পর্বের ধারাবাহিক বেটিং সহ বহু নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি । এছাড়াও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাটক ‘দ্রোহ বেদনার উপাখ্যান ‘বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনের চিরাইতো বাংলার নাটক ‘নিবারণের স্বপ্ন স্বদেশ’ নাটকে মুল চরিত্র নায়ক হিসেবে কায়সার চরিত্রে অভিনয় করেন। যার স্বীকৃতি স্বরূপ বহু সরকারি বেসরকারি সনদ এবং করুনাকালীন সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় করুনা বীর সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন।
এখনো ক্যামেরা ও থিয়েটারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশন এর অর্ন্তভূক্ত নাট্যদল সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভূক্ত নাট্য শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি নাটকের রাইটার হিসেবেও কাজ করছেন। তার লেখা নাটক বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনের গনজাগরনের পথ নাটকে মঞ্চায়ন হয়। নাট্যকার খালিদ সাইফুল্লাহ নিজেকে মেলে ধরতে সকলের সহযোগিতা চান কামনা করেছেন।