স্টাফ রিপোর্টার – ১৮ ডিসেম্বর রোজ সোমবার সকাল-০৮:৪৫ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ কালিবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া রেলটি ৯:২৫ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ পাগলা রেল স্টেশনে অবতরণ করলে ঐ সময় ইঞ্জিনে বসে থাকা বেশ কয়জন পাবলিককে ইঞ্জিন মাস্টার নেমে যেতে বলেন। তারা না নেমে যাওয়ায় ইঞ্জিন মাষ্টার স্টেশনে থাকা কর্তব্যরত আনসারদের প্লাটফর্ম থেকে ডেকে লোকজনকে সরিয়ে দিতে বললে কর্তব্যরত আনসার গণ বাঁশি দিয়ে ইঞ্জিনে বসে থাকা লোকজনকে ডেকে নামাতে চেষ্টা করেন। এ সময় ইঞ্জিনের বগি থেকে কতিপয় ব্যক্তি তার হাতে থাকা পাথর আনসার মোঃ মহসিন এর গায়ে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। পাথরটি আনসার মহসিনের শরীরের বামকাঁধে এসে আঘাত লাগে এতে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হলে সাথে সাথে কর্তব্যরত আনসার গণ রেলগাড়ি থেকে পাথর নিক্ষেপ করা ব্যক্তি ধরে ফেলেন। ধৃত আসামীর নামঃ
মোহাম্মদ রয়েল,তাঁর
বয়স আনুমানিক -২৫ বছর।
পিতাঃমোহাম্মদশাহজাহান,মাতাঃ মোছাম্মদ শাফি,গ্রামঃ দেওভোগ,ডাকঘরঃবুড়িরহাট,
থানাঃ পালং,জেলাঃ শরীয়তপুর। বর্তমান ঠিকানাঃ
গুন্টিগড়,গেন্ডারিয়া,ঢাকা। ধৃত আসামী একজন রিক্সা চালক বলে জানা যায়,
তিনি নেশাদ্রব্য পান করেন যার জন্য তিনি নেশাদ্রব্য সংগ্রহ করতে ৭ঃ৪৫ ঘটিকায় ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে আসেন বলে জানান। মোঃ মাহবুবুর রহমান সরকার,জেলা কমান্ড্যান্ট, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, নারায়ণগঞ্জ এর পরামর্শ ও নির্দেশনায়
ধৃত আসামিকে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল,উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা,নারায়ণগঞ্জ সদর,নারায়ণগঞ্জ তিনি পাগলা রেলস্টেশনে গিয়ে জিআরপি এসআই মোঃ মোখলেসুর রহমান কালিবাজার রেল স্টেশন এর সাথে কথা বলে সরাসরি কালিবাজার রেলস্টেশনে এনে ধৃত আসামীর মৌখিক জবানবন্দি নিয়ে জিআরপি ওসি কমলাপুরের সাথে কথা বলে ধৃত আসামি মোহাম্মদ রয়েলকে এসআই মোখলেসুর রহমান এর হাতে তুলে দেন।
উল্লেখ্য যে,”অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত” এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন পাগলা রেল স্টেশন হতে কালিবাজার রেল স্টেশন পর্যন্ত রেল লাইন ও রেল স্টেশনের নিরাপত্তায় ০৪ (চার) টি পোস্টে/ স্টেশনে টহল ডিউটিসহ মোট ৭০ (সত্তুর) জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
মহা পরিচালক,বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্দেশনায় ও জেলা কমান্ড্যান্ট, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, নারায়ণগঞ্জের ত্বত্তাবধানে রেল লাইন ও রেল স্টেশনের নিরাপত্তায়।