ধর্ষনের শিকার হয়ে লোক লজ্জার ভয়ে এক কিশোরী (১৬) আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর দুইটায় কোতালের বাগ এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লা মডেল থানার কোতালের বাগ বউবাজার এলাকায়।
অভিযুক্ত যুবকের নাম রিপন (২৩)। সে কোতালেরবাগ মহিউদ্দিনপর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো. ইউনুসের ছেলে। এর আগে কিশোরীর খালা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের দায়ের করে।
কিশোরীর বড় খালা ও মামলার বাদী ছোট খালা জানায়, কিশোরীর মা ১০ বছর পূর্বে এবং বাবা ৮ বছর পূর্বে মারা যায়। কিশোরীর বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে কিশোরী তার বড় খালার সাথে থাকতো। গত এক মাস পূর্বে কিশোরী ফতুল্লার কোতালেরবাগ বউবাজার এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করা ছোট খালার বাড়ীতে আসে। ছোট খালা ও তার স্বামী গার্মেন্টেসে চাকুরী করে। একই বাড়ীতে অভিযুক্ত যুবক স্ব-পরিবারে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলো।
চলতি মাসের ২২ তারিখ সকাল ৮ টার দিকে কিশোরীকে বাসায় রেখে ছোট খালা ও তার স্বামী নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। দুপুর ৩টায় দিকে অভিযুক্ত রিপন(২৩) ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে করে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় কিশোরী ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত রিপন দরজা খুলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে আটক করতে তার পিছু নেয় আশপাশের লোকজন। ধর্ষনের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে কিশোরী ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথ গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করার চেস্টা করে।
আরও জানা যায়, কিশোরীর গোঙ্গানীর শব্দ পেয়ে পাশের ভাড়াটিয়া সাজু(৪৩) তা দেখেতে পেয়ে কিশোরীকে নিচে নামিয়ে এনে খানপুর ৩০০শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে রাতে বাসায় নিয়ে এলে বাড়ীওয়ালা মহিউদ্দিন ও একই বাড়ীর ভাড়াটিয়া দুলাল কন্ট্রাকটার বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলে এবং তারাই তা মিমাংসা করার জন্য তাদেরকে নানা রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছিলো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন গিয়াস জানায়, মামলার প্রধান আসামী অভিযুক্ত রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের নিকট পাঠানো হয়েছে।