রুদ্রবার্তা২৪.নেট: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস কাব প্রাঙ্গণে এ প্রতীকী অনশন অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ¦ এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এ প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মজিদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, এ্যাড. ফখরুল ইসলাম মজনু, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, এ্যাড. রফিক আহমেদ, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ,
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন, আওলাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.মুজিবুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাগর প্রধান, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টিু, জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক এ্যাড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ,
জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ¦ এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার দুর্নীতির আড্ডায় রুপান্তরিত করে রেখেছে। তারা রাতের আধারে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে তাই জনগনের কথা চিন্তা করার সময় তাদের নেই। দেশের জনগনকে নানা ভাবে বিপদে ফেলে রেখেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা পরিচালনা করছে ফলে সরকারের ইচ্ছে মত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করছে।
তাদের এই অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলেই এখন লুট, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তারা বিএনপির বহু নেতাদের গুম করেছে কিন্তু একটা কর্মীকেও বিএনপি থেকে সড়াতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন দেশ পরিচালনা করেছেন তখন গ্রামেগঞ্জে রাজনীতি নিয়ে গেছেন। তিনি এই দেশের কৃষকদের নিয়ে ভেবেছেন কৃষকদের বিপ্লব ঘটিয়েছেন। যখন শ্রমিকদের নিয়ে ভেবেছেন তখন শ্রমিকদের বিপ্লব ঘটিয়েছেন।
আর এই সরকার ক্ষমতায় এসে লুট, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা ও দুর্নীতিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এই ভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি করে মাত্র ৫০ লক্ষ মানুষকে টিসিবির চাউল দিচ্ছে। অথচ ঘোষনা দিয়ে ছিলেন তারা ক্ষমতায় আসলে ১৮ কোটি জনগণকে ১০ টাকা দরে চাউল খাওয়াবেন।
অথচ তিনি ৫০ লক্ষ মানুষকে সাময়িক ভাবে এই সুবিদা দিবেন। তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি ৫০ লক্ষ মানুষের সরকার আর বাকি ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের জন্য তার কিছুই করার নেই। তাদের এই অপর্কমে দেশের জনগন ফুসে উঠেছে। সরকারের ক্ষমাতর ভীত কেপে উঠেছে তাদের পতন এখন সময়ের ব্যপার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনির খান, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সুমন মিয়া, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, মহানগর বিএনপি নেতা ও জিয়া স্মৃতি সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাজী রিপন, আল-মামুন, শওকত আলী লিটন, ফেরদৌসুর রহমান, আল আরিফ,
মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এম সাগর, শহীদুজ্জামান, মিজান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নুরুজ্জামান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওসমান, মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রানী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডলি আহম্মেদ,
মহানগর যুবদল নেতা কালু, ইব্রাহীম, রাজু, মোতালেব, জাকির হোসেন, সেন্টু, হালিম, ফয়েজ উল্লাহ সজল, মানিক বেপারী, শাহীন শরীফ, কামরুজ্জামান মাসুদ, জহিরুল ইসলাম, হারুন, আরিফ খান, আব্দুল কাদির, রিক্সশন,লিঙ্করাজ, মঞ্জুর, ওমর ফারুক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।