ফতুল্লার দেওভোগে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সন্ত্রাসী আফজাল হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত আফজালের বাবা এবাদুল হোসেন প্রধান (৬৫) বাদী হয়ে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
পুলিশ মামলার প্রধান আসামি দুর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী রাজু বাহিনীর প্রধান রাজুর বাবা রিয়াজ প্রধান ও ভাই পায়েল প্রধানকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। গ্রেফতারদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলো- দেওভোগ বাশমুলি এলাকার দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু প্রধান (৩৫), সোলেয়মান হোসেন ওরফে সায়মন (৩৫), রাসেল ওরফে বিয়াইস্তা রাসেল (৩০), রাসেদ (২৮), হিটলার (২৫), সফিকুল ইসলাম প্রধান (৫৫), ভোমরা রাসেল (৩০), শামীম (২৮), আমিন (১৯), বাসু (৩৫), সাজু প্রধান (৩০), কাউসার মুন্সি (৪০), সালাউদ্দিন (৪০), পায়েল প্রধান (২৫), সফিউল্লাহ শফি (৫৬), রিয়াজ প্রধান (৬০)সহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয় নিহত আফজাল। রিকশায় করে দেওভোগ মাদ্রাসার পেছনে নিজামের বাড়ির সামনে যাওয়া মাত্র অভিযুক্ত আসামিরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজুর নেতৃত্বে আফজালকে টেনে-হিচড়ে নামিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় আফজাল একটি অটোরিকশায় করে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এসে পড়ে যায়। ইতোমধ্যে নিহতের স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য শহরের জেনারেল (ডিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পথিমধ্য নিহত আফজাল স্বজনদের কাছে হামলার বর্ণনা করে ঘাতকদের নাম বলে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতন আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার নামীয় ১৪ নম্বর আসামি পায়েল ও ১৬ নম্বর আসামি রিয়াজ প্রধানকে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে দেওভোগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার পায়েল প্রধান ও রিয়াজ প্রধানকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।