নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ত্বকীহত্যার বিচার চেয়ে আসছি। কিন্তু বিচারটি হচ্ছে না। ইতিমধ্যে সরকার অনেকগুলো আলোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য সম্পন্ন করে তার নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু কি এক অজানা কারণে সারাদেশের এমনকি বিদেশের বাংলা ভাষা-ভাষীদের কাছেও আলোচিত নারায়ণগঞ্জের এই হত্যাকাণ্ডটির বিচার হচ্ছে না।
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১০০ মাস উপলক্ষে ত্বকীসহ সকল হত্যা ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বানে সারাদেশে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে এখন এটাই বোধগম্য যে, প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটিয়ে সরকারের প্রশাসনকে ব্যবহার করে এই বিচারটি বাধাগ্রস্থ করছে, বিচারটিকে বিলম্বিত করছে। প্রভাবশালীরাতো নিশ্চয়ই সরকারের চেয়ে বেশী শক্তিশালী নয়। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি ত্বকী হত্যার বিচারটি দ্রুত ও নিরপেক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা হোক। নারায়ণগঞ্জবাসীসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতেই এই বিচারটি এখন অতি-দ্রুত সম্পন্ন করার জোর দাবী জানাচ্ছি। এটা এখন সময়ের দাবি।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমগীত, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, প্রগতি লেখক সংঘ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রফ্রন্টের কর্মীবৃন্দ, ‘জাতীয় ত্বকী রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’য় বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিজয়ী বৃন্দ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। করোনা বাস্তবতার কারণে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ত্বকীর পরিবার, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, মানবাধিকার সংগঠক এড. সুলতানা কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যপক আনু মুহাম্মদ সহ সহস্রাধিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, মানবাধিকার কর্মী আলোক প্রজ্বালনে অংশনেন। এ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে দেশের বাইরে আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, ইতালি, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে বাংলাদেশী ও সে সব দেশে বসবাসরত সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীবৃন্দ আলোক প্রজ্বালন করে অংশ গ্রহণ করেন।